বড়দল গ্রামে চাঁদাবাজ রেজাউলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
সাতক্ষীরার আশাশুনির বড়দল গ্রামের রেজাউল ইসলাম গাজী নামের এক প্রতারক চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে সাধারণ নিরীহ মানুষকে জামায়াত-শিবিরের লিস্টে নাম ঢুকানো ও নাশকতার মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেখিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। কোন উপায় না পেয়ে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর গত ১০ অক্টোবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন একই গ্রামের অবসর প্রাপ্ত বিমান বাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল হাকিম।
তিনি তার লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেছেন, বড়দল গ্রামের সামজেদ গাজীর ছেলে রেজাউল ইসলাম গাজী চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টার দিকে আমার অসুস্থ বড় ভাই আব্দুল হামিদ গাজীর বাড়িতে যেয়ে তাকে না পেয়ে আমার বড় ভাবী জাহানারা খাতুনের নিকট ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আর এই টাকা এক দিনের মধ্যে না দিলে আমার বড় ভাই ও আমার নাম জামায়াত-শিবিরের লিষ্টে উঠোনো হবে এবং নাশকতার মামলায় জড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি প্রদান করে।
বিষয়টি আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করি। অথচ আমার বড় ভাই হামিদ গাজী ব্রেনষ্ট্রোক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন যাবত আমার বড় ভাইয়ের ছেলে বিজিবিতে কর্মরত জাহিদুল ইসলামের ঢাকার বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। সম্প্রতি আমি জানতে পারি চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর আশাশুনি থানায় একটি নাশকতার মামলা হয়েছে। যে মামলায় রেজাউল ও তার সহযোগী আইয়ুব সরদার পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে আমার অসুস্থ বড় ভাই আব্দুল হামিদকে ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ নং আসামী হিসাবে অর্ন্তভুক্ত করেছে।
শুধু তাই নয় তাদের ২০ হাজার টাকা না দিলে আমাকেও তারা নাশকতার মামলায় জড়িয়ে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি তাদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, এই রেজাউল ও আইয়ুব সরদার হিজবুল্লাহ যুব সংঘের নেতা। তারা এলাকায় দালালী, চাঁদাবাজী, নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী. মানব পাচারসহ নানবিধ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তারা সরকারের জনপ্রিয়তা ক্ষুন্ন ও হ্রাস করার জন্য এলাকার সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করছে। বহু নিরীহ মানুষ তাদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এমতাবস্থায় তিনি (আব্দুল হাকিম) তার বড় ভাই আব্দুল হামিদ গাজীকে নাশকতা মামলা থেকে অব্যাহতি এবং রেজাউল ও আইয়ুবের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।