পাটকেলঘাটার কুমিরা কপোতাক্ষ পাড়ের ২শ বছরের সাধু পাড়া শশ্মান অবহেলিত
কপোতাক্ষ পাড়ের পাটকেলঘাটার কুমিরা সাধু পাড়া শশ্মানটি অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘ কয়েক বছর। অন্তুতুষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শশ্মানটি রক্ষার জন্য জরুরী ভিত্তিতে রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২শ বছরের পুরাতন শশ্মানটিতে বৃহত্তর কুমিরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার মৃত্যুবরণকারী মানুষগুলোর দাহ সম্পন্ন করা হয়। গত কয়েক বছর আগে কপোতাক্ষ নদীর ধারেই নির্মাণ করা হয় এক তলা বিশিষ্ট পাকা ঘর। কিন্তু কপোতাক্ষ খনন করায় উঁচু করে ভেঁড়ির মাটি দেওয়ার ফলে ভরাট হয়ে যায় শশ্মানের প্রায় সমগ্র বিল্ডিংটি। পশ্চিম দিকে দাঁড়িয়ে কিছুটা বোঝা যায় এটি শশ্মানঘাট। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয়, কুমিরা ইউনিয়নের বাসষ্টান্ডের বরুণ পালের সাথে, তিনি বলেন বাবা-দাদার আমল থেকে শশ্মানটি রয়েছে শুনেছে প্রায় ২শ বছরের পুরাতন। কয়েক বছর আগে সম্মিলিত ভাবে সেখানে একটি পাকা ইমারত তৈরি করা হয়। কিন্তু নাব্যতা হারানো কপোতাক্ষ খননের ফলে নদীর পাশ্ববর্তি হওয়ায় ভবনটি মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। তাছাড়া এখানে মৃত্যু ব্যক্তিদের অন্তুষ্টিক্রিয়ার (দাহ) করাতে নিদারুণ কষ্ট হয়। এদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবী যাতে দ্রুততার সাথে শশ্মানটি সরকারী ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায় তার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, সনাতন ধর্মের মানুষদের অন্তুষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে বৃষ্টির সময় অনেক ঝামেলা হয়। কপোতাক্ষের খননকৃত মাটি উঁচু হওয়ায় এমন সমস্যা হয়েছে। তবে বরাদ্দ আসলে যে ভবনটি আছে তার উপর আরেক তলা করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে সেটি দ্রুততার সাথে করা হবে।