১৪ বছরের মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যা
মাদ্রাসা ছাত্রী সানজিদা রশিদ মিম হত্যায় জড়িত মাদ্রাসার পরিচালকের বিচার দাবি করেছে তার পরিবার। মঙ্গলবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এসময় সানজিদার বাবা হারুন মোল্লা, মা সীমা আক্তার, চাচা হালিম মোল্লা, জুয়েল আকন, ভাই হেমায়েত হোসেন, কিবরিয়া আহমেদ নাইম উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সানজিদা রশিদ মিম (১৪) পশ্চিম রামপুরাস্থ জাতীয় মহিলা মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগে পড়াশুনা করত এবং ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী হিসেবে হোষ্টেলে থাকত। গত ২২ সেপ্টেম্বর-সকালে সানজিদার মা সীমা আক্তার খাবার নিয়ে গেলে তার বাবাকে দ্রত মাদ্রাসায় যেতে বলে। ওই সময় মাদ্রাসার লোকজন সীমার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে মাদ্রাসায় একটি রুমে ৫ ঘন্টা আটকে রাখে।
পরে তারা জানায় সানজিদা রশিদ মিম গলায় ফাঁসি দিয়ে অত্মহত্যা করেছে। এই ফাঁকে মাদ্রাসার পরিচালক মোস্তাক আহমেদ পুলিশকে ম্যানেজ করে পোষ্টমর্টেম করে পরিবারের কাউকে দেখতে না দিয়ে একটি এ্যাম্বুলেন্সে মৃতদেহ দেশের বাড়ীতে নিয়ে দাফন করতে বলে। কেন আত্মহত্যা করেছে জানতে চাইলে পরিচালক মোস্তাক আহমেদ এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দেয়। পাশাপাশি একটি সাদা কাগজে ও তাদের ইচ্ছেমত লেখা মামলায় জোরপূর্বক স্বাক্ষর নিয়ে তাদের চলে যেতে বলে। সানজিদা প্রায়ই তার মায়ের কাছে বলতো মাদ্রাসার হুজুর মাওলানা হোসেন, মাওলানা কাওছার, খতিব মানিক ও মোস্তাফিজুর রহমান তার সঙ্গে খারাপ আচারণ করতো। সানজিদার পরিবারের সন্দেহ তারা মিমকে যৌন-নির্যাতন করে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিয়েছে। এখনও তারা এ বিষয়ে মামলা না করার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এ অবস্থায় মিম হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করে দোষীদের শাস্তি দিতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মিমের পরিবার।
Please follow and like us: