দলীয় কোন প্রতিপক্ষকে সহ্য করতে পারেন না বিএনপির হাবিবুল ইসলাম হাবিব
২০০৪ সালের ৪ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা পাঁচ রাস্তার মোড়ে তৎকালীন উপজেলা বিএনপি সভাপতি আলতাফ হোসেনকে বোমা মেরে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার সাথে মারা যান পথচারী কাঠমিস্ত্রি হাবিবুর রহমান মোড়ল। এ সংক্রান্ত দুটি মামলার চার্জশীটভুক্ত হাবিবুল ইসলাম হাবিব। ২০০৬ সালের ৯ জুলাই নৃশংসভাবে বোমা মেরে হত্যা করা হয় জেলা মৎস্যজীবী দলের তৎকালীন সভাপতি মির্জা মাসুদ জুয়েলকে। এ হত্যাকান্ডেও তৎকালীন এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সাাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিএনপির কর্মী সমাবেশ চলাকালে সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশে তার সমর্থকরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আমানউল্যাহ আমনকে। এভাবেই একের পর এক নিজের দলীয় নেতা কর্মীদের হত্যা করে একক আধিপত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব। বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী এমন তথ্য দিয়ে বলেছেন, দলীয় কোন প্রতিপক্ষকে সহ্য করতে পারেন না হাবিবুল ইসলাম হাবিব। যখনই কোন নেতা তার প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছেন তখনই তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। যে কারণে অকালে জীবন দিতে হয়েছে আলতাফ হোসেন, মির্জা মাসুদ জুয়েল ও আমান উল্যাহ আমানকে। জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাবিব বাহিনী ধারলো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারতে গেলে সেই কোপ লাগে আমানের মাথায়। আমান মাটিয়ে পড়ে গেলে তাকে সাপের মত পিটিয়ে মারে হাবিবের সমর্থকরা। জেলা তথা তালা-কলারোয়াকে বিএনপির নেতৃত্ব শূন্য করে একক আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে সাবেক ডাকসু নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব বার বার রক্তাক্ত করেছেন সাতক্ষীরার শ্যামল মাটি।