সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ডাক্তার,নার্স বিহীন চলছে প্রাইভেট ক্লিনিক:ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ভুল চিকিৎসার কারনে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধহাটা কুল্যার মোড়ে অবস্থিত সোনার বাংলা ক্লিনিকে গত পহেলা অক্টোবর সিজারের সময় ওটির ভিতরে মৌসুমি আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূ ও তার নবজাতকের মৃত্যুর হয়।
পরবর্তীতে মৌসুমির পরিবারের সাথে সমঝোতা করেন ক্লিনিক মালিক পক্ষ বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল আলীম সহ অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনার বাংলা ক্লিনিকের মালিক রেজাউল্ল্যাহ জানান, ওই রোগী হৃদরোগ জনিত কারনে মৃত্যু বরণ করে ছিল ভুল চিকিৎসার কারনে নয়।
তবে সরেজমিনে গেলে ওই ক্লিনিকসহ আরো ছয়টি ক্লিনিকে এম,বি,বিএস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্সের দেখা পাওয়া যায়নি। আশাশুনির বুধহাটায় অবস্থিত ডিজিটাল জনসেবা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেয়ে দেখা যায় সেখানে কোন এম,বি,বিএস ডাক্তার ও নার্স নেই।
ওই ক্লিনিকের মালিক শাহিনুর ইসলাম একজন ডিপ্লোমা ডাক্তার তিনি কর্মরত আছেন আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তার স্ত্রী কর্মরত আছেন কমিউনিটি ক্লিনেকে। তারা স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই নিজেদের কর্মস্থলে না যেয়ে নিজেদের ক্লিনিকে কাজ করে থাকেন বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ক্লিনিকে সেবারত অবস্থায় থাকা ডাক্তার শাহিনুর ইসলাম বলেন, ক্লিনিকের মালিক তার আপন বড় ভাই রবিউল আলম। তবে তিনি সব কিছু দেখা শুনা করেন বলে জানান। এছাড়া কুল্যার মোড়ে অবস্থিত নিবেদিতা নার্সিং হোম,মা সার্জিকাল ক্লিনিক, রয়েল ক্লিনিক ও বুধহাটা বাজারে করিম মার্কেটে অবস্থিত বাবলা মেমোরিয়াল ক্লিনিকে যেয়ে ডাক্তার ও নার্সের দেখা মেলেনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিনিক মালিকরা বলেন এম,বি,এস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্স বাইরে গেছে। আবার কয়েকজন ক্লিনিক মালিকরা বলেন ডিপ্লোমা নার্স ছুটিতে আছেন। তাছাড়া নবায়ন লাইসেন্স,পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র ও নারকুটি লাইসেন্স প্রকিয়াধীন আছে বলে জানান সব কয়টি ক্লিনিক মালিকরা।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন তৌহিদুর রহমান জানান, গত (৭) অক্টোবর সোনার বাংলা ক্লিনিক ভিজিট করে তাদের অনিয়মের প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। তাছাড়া অনিয়মের কারনে বুধহাটায় অবস্থিত রয়েল ক্লিনিক বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এছাড়া বাকি ক্লিনিক গুলোতে ডাক্তার ও নার্স না থাকার কারনে তাদের প্রতিষ্ঠানের নামে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানান সিভিল সার্জন।
ভুল চিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা পেতে ক্লিনিক গুলোতে সর্বক্ষণ একজন ডাক্তার ও নার্সের প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। যেসকল ক্লিনিক সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে আশাশুনি উপজেলা বাসী।