পাটকেলঘাটার ৭৯ পূজা মন্ডপ প্রস্তুত
তুলির শেষ আঁচড়ে দেবীর আগমনী বার্তা পাটকেলঘাটার সকল মন্দিরে প্রতিমার মাটির কাজ শেষে এখন চলছে রং তুলির আঁচড়ের শেষ মুহুর্তের কাজ। আর মাত্র ৫দিন পরেই মহা পঞ্চমীর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে দূর্গোৎসব। এবার শান্তির বার্তা নিয়ে আসছেন দেবী দুর্গা। এ উপলক্ষে দম ফেলার যেন সময় নেই প্রতিমা শিল্পী ও কারিগরদের। মন্ডপে মন্ডপে চলছে কমিটি গঠনের কাজ। সাথে সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে মতবিনিময়। যাতে করে শারদীয় দূর্গোৎসব সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
পাটকেলঘাটা-তালা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি বাবু নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার জানান, এবার পাটকেলঘাটা থানার ৫টি ইউনিয়নে মোট ৭৯ টি পূজামণ্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ধানদিয়া-১৭, নগরঘাটা-৯, সরুলিয়া-২০, কুমিরা-১৩, খলিষখালী-২০টি। পূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবার দেবী দুর্গা আসছেন ঘোড়ায় চড়ে। যাবেনও ঘোড়ায়। তাই সামান্য অবসর নেই এখন প্রতিমা শিল্পী আর কারিগরদের। প্রতিমা শিল্পীরা জানান, সময় যেহেতু আর নেই তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম কাজ করে চলেছেন তারা। তাছাড়া নিখুঁত মূর্তি তৈরিতে করণীয় সব রকম উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিবারের অন্যরাও এ কাজে তাদের সহযোগিতা করছেন। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমার মাটির কাজ শেষে রং তুলির আঁচরে প্রতিমাগুলো জীবন্ত করে তুলছেন তারা। এসব প্রতিমার কাজ গুলো ষষ্ঠীর আগে শেষ করতে হবে। তাই হাতে সময় বেশি নাই, একেকটি প্রতিমা তৈরি করতে খরজ হয় ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাটকেলঘাটা থানা ওসি রেজাউল ইসলাম জানান, প্রতি বছরই পাটকেলঘাটা থানার সার্বজনীনভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করা হয়। সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে এ উৎসব প্রাণের উৎসবে রূপ নেয়। তাই সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে দুর্গাপূজাকে শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিমা তৈরি থেকে বিসর্জন পর্যন্ত এ ব্যবস্থা বলবত থাকবে। এ ছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপের পুজা কমিটি নেতাদের সাথে মতবিনিময় শেষে এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।