সভাপতিকে লাঞ্চিত করায় ভোমরা স্থল বন্দরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন,রেজিঃ নং ১১৫৫ এর সাধারন সম্পাদক একাধিক মাদক মামলার আসামি মাসুদ আলম কতৃক উক্ত সংগঠনের সভাপতি ওভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম লাঞ্ছিত হওয়ায় শনিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উত্তেজিত সাধারন শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং ইউনিয়ন কার্যালয় ঘিরে ফেলে। দ্রুত পুলিশ পৌছে অবরুদ্ধ মাসুদ আলমকে উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরন এবং আনারুল ইসলামের ভাষ্যমতে জানা যায় যে, ভোমরা স্থলবন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিঃ নং ১১৫৫ এর সাধারন সম্পাদক একাধিক মাদক মামলার আসামি মাসুদ আলম বিগত কয়েকদিন যাবৎ ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে সদস্য রেজিষ্ট্রার থেকে ২০ জন সদস্যের নাম মুছে দিয়ে নুতন ২০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। বিভিন্ন অজুহাতে শ্রমিকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা সহ মাসিক চাঁদার টাকা নিয়েও রশিদে স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানায়। সর্বোপরি সর্বক্ষন নেশাগ্রস্থ থাকায় কারনে অকারনে সাধারন শ্রমিক সহ ইউনিয়ন কর্মকর্তাদের সাথেও দূর্ব্যবহার করে থাকে। সাধারন শ্রমিকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার ( ৬ অক্টোবর) বিকালে সংগঠনের সভাপতি আনারুল ইসলাম গাজি অফিস কক্ষে মাসুদ আলমকে ইউনিয়নের গঠনতন্ত্র মোতাবেক চলার নির্দেশনা দিতে গেলে মাসুদ আলম তাকে অকথ্য গালিগালাজ সহ শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। সাথে সাথেই উত্তেজিত শ্রমিকরা ইউনিয়ন কার্যালয় ঘিরে ফেললে নামাজের ঘরের দরজা বন্ধ করে মাসুদ আলম নিজেকে রক্ষা করে। শত শত উত্তেজিত শ্রমিক মাসুদ আলমের বহিস্কার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। পুলিশ এসে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাসে হাতকড়া পরা অবস্থায় মাসুদ আলমকে থানায় নিয়ে গেলে শ্রমিকদের উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আনারুল ইসলাম গাজির পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছিল।