বিশ্ববিদ্যালয়ের কোচিং করতে এসেছিলেন ঐশী, অতঃপর…
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির রাজদর্শন হল আলোকজ্জ্বল হয়ে ওঠে ১০ সুন্দরীর উপস্থিতিতে। সেই ১০ জনের মধ্য থেকে ৩ জনকে বিচারকেরা আলাদা করে ফেলেন। সেরা দশে জায়গা করে নেওয়া অনেকেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কিন্তু সেরা ৩ জন ছিলেন অনবদ্য।
বিশেষ করে জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী ও নিশাত নাওয়ার সালওয়ারের পরফরম্যান্স ছিল চোখ ধাঁধানো। শেষ পর্যন্ত ঐশীই জিতেন সেরার মুকুট। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৮ নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি বেস্ট অ্যাপিয়ারেন্স অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন ঐশী।
ঐশীর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গল্পটা অনেকটাই কাকতালীয়। অর্থাৎ মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মতো। ঐশী পিরোজপুরের মেয়ে। এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া মেয়েটি চলতি বছর এইচএসসি শেষ করে ঢাকায় এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিং করার জন্য। ঢাকায় এসে এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেছিলেন। বাবা আব্দুল হাই সমাজসেবী মা আফরোজা হোসনে আরা একজন স্কুল শিক্ষিকা। ঐশীরা দুইবোন। বড় বোনের নাম শশী। চলতি বছরই এইচএসসি পাস করেছেন মাটিভাঙা ডিগ্রি কলেজ থেকে। এরপরই ঢাকা…
যখন চোখেমুখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির লড়াইয়ের স্বপ্ন তখনই খোঁজ পান মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৮ এরে আবেদন করার খবর। কৌতুহল আর আগ্রহ মাথার চিন্তাকে যেন কিছুটা এলোমেলোই করে দিল। আবেদন করে বসলেন। দেখতে দেখতে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিলেন। সেরা দশে জায়গা পাওয়ার পর নিজের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়ে গেল।
ঐশী বলেন, আমি জানি বিচারকেরা সব দিক বিবেচনা করে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ নির্বাচিত করেছেন। আমি এই প্রতিযোগিতায় এসে ক্রমাগত শিখেছি। কিন্তু চূড়ান্তভাবে আমার নাম ঘোষিত হবে এটা ভাবতে পারিনি। ছিলাম প্রচণ্ড নার্ভাস। অনেক বড় দায়িত্বও আমার কাঁধে এসেছে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সৌন্দর্য তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি আমি, এটা ভাবতে ভালো লাগছে। আশা করছি, নিজের দেশের শিল্প, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে মর্যাদার সঙ্গেই বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারবো।’