সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ডাক্তার ও লাইসেন্স বিহীন চলছে প্রাইভেট ক্লিনিক
শ্যামনগর সদর সহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি নীতি মালা না মেনে এম,বি,বি এস ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স ও লাইসেন্স বিহীন চলছে বেসরকারি ক্লিনিক। সরেজমিনে দেখা যায়, ৭র্ম শ্রেণির ছাত্রী ৫র্ম শ্রেণি পাশ নার্স দিয়ে চালানো হচ্ছে ক্লিনিক।
ডাক্তার অপারেশন করে রেখে যাওয়ার পরে ইনজেকশন থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করানো হচ্ছে ওই সকল অদক্ষ নার্স দিয়ে।শ্যামনগর উপজেলার ১৩ টি ক্লিনিকের মধ্যে ২ টি ক্লিনিক চলছে কিছুটা সরকারি নিয়ম নিতির মধ্য দিয়ে আর বাকি গুলো চলছে সরকারি কর্মকর্তা ও কিছু স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি কিøনিকে এম,বি,বি,এস ডাক্তার ও একজন ডিপ্লোমা নার্স থাকবে সর্বক্ষণ। তাছাড়া নবায়ন লাইসেন্স,পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র,নারকুটি লাইসেন্স,ইনকামটেক্স ও ফায়ারসার্ভিস লাইসেন্স। এরপরও ওটিতে এসি, হাউড্রোলিক টেবিল সহ সকল সার্জিকাল যন্ত্রপাতি থাকার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্লিনিকে এ নিয়ম মানছেনা।শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত আরজি ক্লিনিক নার্সিং হোম, নওয়াবেঁকিতে দুইটি শামিমা ও ডাক্তার ফার্নান্দো নববে মাদার এন্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল,বংশীপুরে তিনটি শ্যামনগর ন্যাশনাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার,বংশীপুর নার্সিং হোম ও জননী নার্সিং হোম। শ্যামনগর সদরে সুন্দরবন নার্সিং হোম,নগর হাসপাতাল ও সেবা ক্লিনিক সরকারি কোন নিতিমালা না মেনেই নির্বিঘ্নে চালাচ্ছে তাদের ক্লিনিক ব্যবসা।
রোগীদের জীবন নিয়ে ডাক্তার বিহীন ক্লিনিক গুলো খেলা করে গেলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ওই সব ক্লিনিকে ভর্তি রোগীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ডাক্তার অপারেশন করে রেখে চলে যায় এরপর নার্স দিয়ে তাদের সেবা করানো হয়। আরও জানান ডাক্তারের দেখা পান আবারও ৩ থেকে ৪ দিন পরে নতুন রোগীদের অপারেশন করতে আসলে তাদেরকে এক নজর দেখে যান।
অবৈধ ভাবে ক্লিনিক চালানোর কারণ জানতে চাইলে ক্লিনিক মালিকরা বলেন একজন এম,বি,বি,এস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্স সর্বক্ষণ রেখে রোগীদের চিকিৎস্য দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না। তবে ডাক্তার প্রতিদিন তাদের ক্লিনিকে এসে রোগীদের দেখে যায়। এছাড়া সর্ব প্রকার লাইসেন্স সরকারি ভাবে বন্ধ আছে বলে জানান ক্লিনিক মালিকরা।
ডাক্তার,নার্স ও লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণ জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাক্তার তৌহিদুর রহমান বলেন যে সময় তিনি ক্লিনিক পরিদর্শন করতে যান সেসময় ক্লিনিকে ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত থাকে এজন্য কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন না তিনি। তবে যদি কোন ক্লিনিক সরকারি নিয়ম নিতি না মেনে কার্যক্রম চালিয়ে যায় তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।