জমে উঠেছে গুড়পুকুর মেলা
জমে উঠেছে গুড়পুকুর মেলা। শুক্রবার ছুটি দিন শহরের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে চলমান মাসব্যাপী এ মেলায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীড় দেখা গেছে। যেন তিল ধারণের ঠাই ছিল না। কেউ কেউ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে কেনাকাটায়, কেউবা নাগরদোলা বা ড্যান্সিং বোটে চড়ে। উৎসাহ উদ্দীপনার ঘাটতি ছিল না শিশুদের মধ্যেও। তারাও ছুটির দিনে মেলায় এসে বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, ঢোকার গেট থেকে শুরু করে মেলার ভেতরের অলিগলিতে দর্শনার্থীরা লাইন ধরে হাটছে। কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই। ছুটির দিন হওয়ায় শিশুদের খেলনার দোকান ও রাইডে ছিল উপচেপড়া ভীড়। শিশুদের চোরকি, দোলনা ও ড্যান্সিং বোটে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে চড়েছে সবাই। মেলার মনোহরির দোকান, পোশাক-পরিচ্ছদ, নিত্য প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র, ব্যাগ, জুতাসহ খাবারের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভীড় ছিল শুক্রবার।
এবারের মেলায় বিশেষ আর্কষণ তৈরী করেছে তরকারি কাটা ম্যাজিক মেশিনের দোকান, জাদু শেখার দোকান, মেয়েদের ওড়নার দোকান, অল্প দামের শিশুদের পোশাকের দোকান এবং সাতশ থেকে পাঁচ হাজার টাকার কম্বলের দোকান। এর সাথে সাথে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যের দোকান, কাঠের দোকান, লোহার ছুরি-কাচির দোকান, ছেলেদের পোষাকের দোকান ও খাবারে দোকানেও ভীড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
মেলায় আগত শিশু দর্শনার্থী মোস্তাকিম বিল্লাহ বলেন, আজ ছুটির দিন তাই মেলায় এসেছি। দোলনায় চড়েছি। মেলা থেকে অনেকগুলো খেলনা কিনেছি। খুব মজা লেগেছে।
দশনার্থী শাহানা আফরোজ জানান, বাচ্চাদের নিয়ে মেলায় এসেছি। পর্যাপ্ত ভিড়। এতো ভিড় যে চলাচল করা যাচ্ছে না। মেলা থেকে একটি কম্বল কিনেছি। বেশ কম দাম। এছাড়া বাচ্ছাদের জন্য খেলনা কিনেছি।
ঢাকা থেকে আসা কম্বল ব্যবসায়ী আবুল খায়ের জানান, প্রতি বছরই মেলায় আসি। অন্যবারের থেকে এবারের মেলা জমেছে ভাল। বেচাকেনাও মোটামুটি। তবে আমাদের বেচাকেনা মেলার শেষ দিকে বেশী হয়। আশা করছি ভালো বেচাকেনা করতে পারবো।
খেলনা ও মোনহরীর দোকানদার ইকবাল হোসেন জানান, মেলায় পর্যাপ্ত ভিড়। বেচাকেনাও ভাল। তবে যে পরিমাণ লোক আসছে সে তুলনায় বেচাকেনা হচ্ছে না।