বছরের শেষে অথবা ১৯’র শুরুতে জাতীয় নির্বাচন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের শেষে অথবা ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ নির্বাচনে আইনগত ভিত্তি পেলেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।
আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং ইভিএম ব্যবহার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘ইভিএম অতিরিক্তভাবে চাপিয়ে দেয়া যাবে না। যতটুকু নিখুঁতভাবে ব্যবহার করা যাবে ততটুকুই ব্যবহার করা হবে। ইভিএম নিয়ে মানুষের মাঝে সন্দেহ থাকবে, প্রশ্ন থাকবে। আমরা সেগুলো দূর করার চেষ্টা করব। পরিপূর্ণভাবে ইভিএম ব্যবহার করব। কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।
নুরুল হুদা বলেন, আইনগত স্বীকৃতি পেলেই এটি (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এ যন্ত্র ব্যবহার করলে ভোট গ্রহণ সহজ হবে, কষ্ট কমে যাবে, ভোট গণনা সহজ হবে এবং ভোট কারচুপি হবে না।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের ইভিএম সম্পর্কে ভালোভাবে জানার পরামর্শ দিয়ে সিইসি বলেন, জানার পর মন্তব্য করলে ভাল হয়। আমাদের অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হতে হবে। নির্বাচনের ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালায় ৫০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নেবেন।