আশাশুনিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু আদালতে চারজনের নামে মামলা

স’মিলে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতের মা খুলনা শহরের পশ্চিম টুটপাড়ার আনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরার ৮নং আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। বিচারক রাজীব রায় এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে কিনা জানতে পেয়ে আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিম সানা , ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন ও জোবেদা খাতুন জানান, খুলনা শহরের পশ্চিম টুটপাড়ার বাবলু শেখের ছেলে শওকত শেখ চার বছর আগে চেউটয়া গ্রামে খালুর বাড়িতে থেকে আনুলিয়া বাজারে আব্দুল্লাহ এলুমনিয়াম ও ফার্নিচারের দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে কারখানায় কাজ করার সময় কাঠের নীচে থাকা বৈদ্যুতিক তার র‌্যান্দা টানার সময় কেটে ফেলে। এসময় সে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে জরুরী ভিত্তিতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় শওকত মারা যায়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়। বিষয়টি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে ছাপা হয়।
তবে মৃতের মা আনোয়ারা বেগমের অভিযোগ, তার ছেলে শওকত হোসেনের সঙ্গে দূর সম্পর্কের মামাত বোন আয়েশার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর ওই মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল অভিভাবকরা। একপর্যায়ে বিয়ের প্রতিবাদ করায় মামা কাপষণ্ডা গ্রামের নাসির গাজী, জহুরুল খা, আলিম গাজী ,আয়েশা খাতুন ও স’মিল মালিক আনুলিয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ হোসেন যোগসাজস করে তার ছেলেকে মেরে ফেলে সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত ছাড়াই তাদের আত্মীয় শুকুর আলীকে দিয়ে লাশ দাফন করিয়েছে।
জানতে চাইলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফরহাদ জামিল বলেন, সদর থানার উপ পরিদর্শক মানিকের কাছে মৃতের স্বজন শুকুর আলীসহ কয়েকজন স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা লিখিতভাবে জমা দিয়ে লাশ নিয়ে গেছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক মানিক জানান, সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মোবাইল পেয়ে তিনি ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর দু’টোর দিকে হাসপাতালে আসেন। মৃত্যু নিয়ে কোন অভিযোগ না থাকায় স্বজনদের কাছে শওকতের লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)