দেবহাটা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ
সরকারি নিয়মনীতি না মেনে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কের গাজীরহাট বাজাররের অগ্রনী ব্যাংকের সামনে অবস্থিত সড়ক ও জনপদ বিভাগের শত বছরের একটি শিশু গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকনের বিরুদ্ধে। এসময় গাছ কাটার বিষয় জানতে গেলে সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন ।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল ১১টার দিকে গাজীরহাট বাজারে।
জানা যায়, সরকারী নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়া ৬/৭জন গাছ কাটা শ্রমিক দিয়ে সরকারি গাছ কর্তন করতে থাকে মাহবুব আলম খোকন। এসময় স্থানীয়রা বিষয়টি দেবহাটায় কর্মরত সাংবাদিকদের জানালে সাংবাদিকরা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে গাছ কাটতে থাকা শ্রমীকরা জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন তাদেরকে গাছটি কাটতে বলেছেন। শ্রমীকরা সাথে সাথে মোবাইল ফোনে ভাইস চেয়ারম্যানকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিয়ে আসেন। এসময় তিনি ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই কোন কিছু না বলেই সাংবাদিকদের উপর চড়াও হন এবং হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এমনকি গাছ কাটার অনুমোদনের কথা বললে আমার অফিসে আছে, প্রয়োজন হলে সেখানে যেয়ে দেখে আসেন বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এদিকে একজন জন প্রতিনিধির এমন আচরণ দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই হতবাক হয়ে যান। তারা একে অন্যের সাথে বলা বলি করতে থাকেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন এমন ভারসাম্যহীন ভাবে কথা বলছেন কেন?
দেবহাটার কয়েকজন সংবাদকর্মী জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন কয়েক জন লোক নিয়ে সরকারি গাছ কাটছে এমন খবর পেয়ে আমরা গাজীরহাটে যায়। সেখানে একটি বড় শিশুগাছ ভাইস চেয়ারম্যান কয়েকজন লোক নিয়ে কাটছেন। সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এসময় সাংবাদিকরা তার আচারণে হতভম্ব হয়ে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন জানান, আমি অনুমতি নিয়ে গাছ কাটছি। তবে, কার অনুমতি নিয়ে কাছ কাটছেন তার কোন উত্তর দিতে পারিনি। তাছাড়া সাংবাদিদের সাথে চড়াও হওয়ার ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।
তবে গাছ কাটার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন সেটি ছবিতে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজ-আল-আসাদ জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। বিষয়টি আমি আপনাদের মুখেই শুনলাম। কেউ যদি নিয়ম বহিঃর্ভূত ভাবে সরকারী কাছ কেটে থাকে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট বিভাগ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গণি বলেন, সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি নিয়ে আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেব। বিষয়টি আমি জেলায় মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থাপন করবো।
তবে গাছ কাটার ব্যাপারে অনুমতি নেওয়া হয়নি জানিয়ে জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, আমাদের কাছে কেউ কোন অনুমতি নেয়নি। আমাদের গাছ কাটার দরকার হলে টেন্ডারের মাধ্যমে অনুমতি দিয়ে থাকি। সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি খবর নিয়ে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।