বেনাপোল পাঠবাড়ি দুইদিন ব্যাপী নির্জন উৎসব সমাপ্ত
বৈষ্ণবকুল শিরোমণি ঠাকুর হরিদাসের ভজন কানন নামে পরিচিত সুদীর্ঘ সাড়ে ৫ শত বছরের প্রচীন ঐতিহ্যবাহী ও গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর স্মৃতি বিজড়িত বেনাপোল শ্রী শ্রী ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের পাঠবাড়ি আশ্রম সনাতন ধর্মলম্বীদের কাছে তথা ভারত উপমহাদেশের একটি তীর্থ স্থান। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর ও ২৩ ২৪ দুইদিন ব্যাপী হরিদাস ঠাকুরের নির্জন তিথি মহোৎসব সহ নানা ধর্মী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ করা হলো।
বেনাপোল পাঠবাড়ি আশ্রমে গত দুদিনে দেশ বিদেশের হাজার হাজার ভক্তকুল এর আগমনে মুখরিত হয়ে উঠে।
এ আশ্রমটি দেশ বিদেশের মানুষের কাছে এখন হয়ে উঠেছে একটি দর্শনীয় স্থান। দেশের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্ত শহর বেনাপোলের পাঠবাড়ি সনাতন ধর্মের নামাচার্য ব্রহ্ম হরিদাস ঠাকুরের নির্জন তিথি মহোৎসব ২০১৮ পালিত হলো অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে। এখানে প্রতি বছরের ন্যায় এবার ও হরিদাস ঠাকুরের জীবনী, ভাবগত আলোচনা,কীর্তন নির্জন লীলা,আস্বাদন, ভক্তিগীতি ও পদাবলী কীর্তন নিয়ে পালিত হলো নির্জন তিথি মহোৎসব।
হরিদাস ঠাকুরের পাঠবাড়ি আশ্রমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ভক্তকুল সহ পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আসা ভক্তকুলরা অংশ নেয়। এছাড়া অন্যান্য দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ও এ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
বেনাপোল পাঠবাড়ি আশ্রমের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দেবনাথ জানান, দেশের সীমান্ত ঘেঁষা শহর বেনাপোল পাঠবাড়ি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম একটি তীর্থ স্থান। এখানে ভারত সহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা ভক্তকুলদের পদচারণয় মুখরিত হয়ে উঠেছে এ উৎসব।
বেনাপোল পাঠবাড়ির এ ঐতিহ্যবাহী আশ্রমে আসা ভক্তকুলদের দুই দিনের নির্জন তিথির অনুষ্ঠানে খাবার দেওয়া হয় আশ্রম থেকে। প্রতি বছর ২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বর দুর দূরান্ত থেকে আনা শত শত গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তার উপর। পুরো এলাকাটায় একটা উৎসবের মেলা বয়ে যায়।
পাঠবাড়ি আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক শ্রী ফণীভূষণ পাল জানান, এবার এ অনুষ্ঠানে বিদগ্ধ আলোচক হিসাবে অংশ নেয় সাতক্ষীরা শিবকালি মন্দির বৈষ্ণব কৃপাপ্রার্থী ভক্ত প্রবর বিশ্বমঙ্গল কৃষ্ণদাস, মাগুরার গোপাল সেবশ্রমের শ্রী চিন্ময়নন্দ দাস, রাত ২.৩০ টার সময় লীলা কীর্তনে অংশ নেয় পশ্চিমবঙ্গ ভারতের সুরজিৎ বসু । এছাড়া দেশের অন্যান্য জেলার বিশেষ বিশেষ মন্দির ও আশ্রমের অসংখ্য ভক্তনুরাগী নির্জন তিথিতে অংশ নেয়।
এছাড়া এখানে এই নির্জন তিথি মহোৎসবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রী বৈদ্যনাথ দাস, সহ বেনাপোল পাঠবাড়ি হরিদাস ঠাকুরের আশ্রমের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ অন্যান্য দায়িত্বশীল ব্যক্তি বর্গরা।