কালিগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হত্যা মামলায় আরো দু’জন গ্রেফতার
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির নেতা কেএম মোশাররফ হোসেন হত্যা মামলায় আরো দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে ও শনিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের নিজ বাড়ি ও কৃষ্ণনগর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের অজিত ওরফে বাটুল হালদারের ছেলে নন্দ হালদার ও কৃষ্ণনগর গ্রামের ডাকাত ফজর আলীর ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ইউপি সদস্য ফজলুর রহমান।
এদিকে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনকে হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে কালিগঞ্জ কাকশিয়ালী ব্রিজের পাশে শনিবার দুপুরে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতা মোজাহার হোসেন কান্টুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নিহতের মেয়ে সাফিয়া পারভিন, জামাতা রাসেল আহম্মেদ, জাপা নেতা খান লতিফুর রহমান বাবলু, আওয়ামী লীগ নেতা ডিএম সিরাজুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা অনীক মেহেদী, নিহতের ভাগ্নে আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি মন্ডলীর সদস্য গোস্ট বিহারী মন্ডলের অভিযোগ, কৃষ্ণনগর বাজারে দুর্গা মন্দিরের জমি ও ব্যক্তিগত জমি নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধকে কেন্দ্র করে লাল্টু ঘোষ, রণজিৎ ম-ল ও নন্দ দর্জিকে পুলিশ অহেতুক এ ধরণের স্পর্শকাতর মামলা গ্রেফতার করে হয়রানি করছে।
কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন হত্যার ঘটনায় অর্থ যোগানদাতা হিসেবে সন্দিগ্ধ আসামী নন্দ হালদারকে শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একইভাবে যুবলীগ নেতা ফজলুর রহমানকে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে কৃষ্ণনগর বাজারের সোহেলউদ্দিন এ- করিমুন্নেছা কিণ্টার গার্টেন স্কুলের সামনে তেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে কৃষ্ণনগর বাজারে যুবলীগ অফিসের সামনে ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ১৫ সেপ্টেম্বর প্রধান আসামী ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলকে জনতা পুলিশের কাছ থেকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ পর্যন্ত এ মামলায় ১০জনকে গ্রেফতার করা হলো। তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।