দেবহাটায় ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে বিধবা নারীর সংবাদ সম্মেলন
দেবহাটায় পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র থেকে রেহায় পেতে এক বিধবা নারী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন। বুধবার বেলা ১১ টায় দেবহাটা প্রেসক্লাবে এসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মাঝ পারুলিয়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের স্ত্রী মাজিদা বেগম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার স্বামী একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন। গত ৪ বছর ৫ মাস আগে চাকুরীরত অবস্থায় আমার স্বামী স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর থেকে অনেক কষ্টে আমি আমার সন্তানদের নিয়ে সংসার পরিচালনা করে আসছি। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে স্থানীয় একটি মহল বিভিন্ন ভাবে আমাকে ফাঁসানোর জন্য নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে। সেই সূত্র ধরে আমার মেয়ের বান্ধবী একই গ্রামের আরিজুল ইসলামের কন্যাকে দিয়ে একটি চক্রান্ত গড়ে তুলেছে। গত শুক্রবার ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে আমাদের বাড়িতে উক্ত কন্যা আসে। আমাদের বাড়ি আসার কথা জানতে চাইলে সে কোন উত্তর দিতে না পারলে আমি তার বাড়িতে যেতে বলি। মেয়েটি বাসায় চলে যাওয়ার প্রায় ২ ঘন্টাপরে মেয়ে তার দাদিকে নিয়ে আমার বাড়িতে নিয়ে আসে। মেয়ের দাদি আমার ছেলের সাথে তার নাতিনির প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করে। আমি তখন আমার ছেলেকে ডেকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করি। তখন তারা কোরআন শরিফ ছুয়ে শপথ করতে বললে আমার ছেলে কোন প্রকার সম্পর্ক নেই বলে জানায়। কিন্তু তাদের মেয়ে কোরআন শরিফ না ছুয়ে হুমকি দিতে দিতে চলে যায়। মেয়ের দাদি আরো বলতে থাকে তাদের মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে দিতেই হবে। আমি রাজি না হলে যে কোন মূল্যে তাদের মেয়ে আমার বাড়িতে বউ হয়ে আসবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার পরদিন শনিবার মেয়ে কলেজ থেকে ফিরে এসে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ঐদিন দুপুরে মেয়ের দাদা আব্দুর রহিম মেয়ে বিয়ে না করলে মেয়ের ক্ষতিপুরণ ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবি করে। এরপর তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের সম্মানহানি করে। আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র লিপ্ত হয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। মেয়ের চাচা রাশিদুল ইসলাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোক দিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে চলেছে। মেয়ের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় বর্তমানে আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভূগতেছি। আমি সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।