ভারত-বাংলাদেশ পাইপলাইন নির্মাণের উদ্বোধন আজ
ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার যৌথভাবে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।
সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জানায়, বর্তমানে আমদানিকৃত তেল চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ হতে খালাস করে চট্টগ্রাম ডিপোতে সঞ্চয় করে রাখা হয়। পরে কোস্টাল ট্যাংকে করে খুলনার দৌলতপুর ডিপোতে আনা হয়। সেখানে আনলোড করে আবার রেলের ওয়াগনে আপলোড করে নিয়ে যাওয়া হয় পার্বর্তীপুরে।
এই প্রক্রিয়ায় পরিবহন জনিত সমস্যা, অতিরিক্ত সময় এবং অর্থের অবচয় হয়। পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনলে এই তিন ক্ষেত্রেই সাশ্রয় হবে। ভারতের শিলিগুড়ি হতে বাংলাদেশের পার্বতীপুর পর্যন্ত প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পাইপ লাইন নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে ডিজেল ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি কার্যকর হবে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি সংক্রান্ত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি গত বছরের ২২ অক্টোবর স্বাক্ষরের পর এ বছরের ৯ এপ্রিল সমঝোতা স্মারক সই হয়। এ পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রথমে আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহ করা হবে প্রথম তিন বছর ধরে। পর্যায়ক্রমে এ সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে শেষ পাঁচ বছর ৪ লক্ষ মেট্রিকটনে উন্নীত করা হবে।
বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে প্রয়োজনে জ্বালানি তেলের আমদানি এই পাইপ লাইনের মাধ্যমে আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। নুমালীগড় রিফাইনারী উক্ত পাইপ লাইনের মাধ্যমে ১৫ বছরের জন্য ডিজেল সরবারহ করবে। উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে এ সময় বর্ধিত করা যাবে।
২০১৬ সালের ১৯ মার্চ রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ২ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন ডিজেল পার্বতীপুর ডিপোতে ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি হতে অনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়। রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে গত জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৫৪ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা হয়েছে।