কালিগঞ্জে গণপিটুনিতে নিহত মেম্বার হত্যা মামলায় আসামি ৭ হাজার

কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জলিল গাইনকে গতকাল শনিবার রাতে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করায় অজ্ঞাত ৭ হাজার জনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। নিহত জলিল মেম্বার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের শঙ্করপুর গ্রামের হাবিবুল্লাহ গাইনের ছেলে।কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,গণপিটুনিতে নিহত জলিল গাইনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে,এম মোশারফ হোসেনের হত্যা মামলার প্রধান আসামি জলিল ঢাকার কালিয়াকৈর উপজেলার রাখালিয়াচালা থেকে মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ গত শুক্রবার রাতে তাকে আটক করে। পরবর্তীতে শনিবার রাতে ঢাকা থেকে কালিগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়ে আসে। এরপর চেয়ারম্যান হত্যার কথা পুলিশের নিকট স্বীকার করে।এবং হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র কোথায় আছে সে তথ্য ও পুলিশের নিকট দেন তিনি। পরবর্তীতে পুলিশ অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য তাকে নিয়ে কৃষ্ণনগর বাজার এলাকায় যায়। এসময় স্থানীয় ৬ থেকে ৭ হাজার জনতা পুলিশের গাড়ী থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দিলে ঘটনা স্থলে জলিল নিহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ত্রণে আনার জন্য কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লেও শেষ রক্ষা হয়নি ইউপি সদস্য জলিলের। এসময় জনতার হাত থেকে তাকে রক্ষা করতে গেলে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে কৃষ্ণনগর বাজারে অবস্থিত যুবলীগ কার্যালয়ে ভিতরে মোশারফ চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দূর্বত্তরা এঘটনায় চেয়াম্যানের মেয়ে বাদী হয়ে জলিল প্রধান আসামি করে ১৯ জন সহ অজ্ঞাত ২১ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত জলিল মেম্বার সহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ বাকিদের জেল হাজতে প্রেরণ করলেও জনতার রোষানলে গণপিটুনিতে নিহত হলেন জলিল মেম্বার।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)