জনবিস্ফোরণ ঠেকানো যাবে না: রিজভী
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনবিস্ফোরণ ঠেকানো যাবে না।
তিনি বলেন, যেকোন মূহুর্তে পিছলে যাবার ভয়ে তারা (সরকার) পুলিশের ওপর নির্ভর করে মামলা হামলা ও গ্রেফতারের শৃঙ্খলে জনগণকে বন্দি করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। জনগণ মনের ক্ষোভ চেপে রাখতে অধৈর্য্য হয়ে উঠেছে, তাই সর্বত্র প্রতিবাদের সোচ্চার ধ্বনী উচ্চারিত হচ্ছে। যেকোন মূহুর্তে ধেয়ে আসা জনগণের ঘুর্ণিঝড় রুদ্ররুপ ধারণ করবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে জনবিস্ফোরণ ঠেকানো যাবে না।
শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী সরকার ভীরু ও কাপুরুষ, তাদের কোনো সাহস নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, তাদের আছে শুধু ভয় ও আশঙ্কা। যদি সাহস থাকতো তবে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করার জন্য নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেন।
অসাংবিধানিকভাবে কারাগারে আদালত বসিয়ে খালেদা জিয়ার মামলার রায় চায় রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করে তিনি বলেন, গতকাল রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে বলেছে ‘যেহেতু খালেদা জিয়া আদালতে আসতে চাচ্ছেন না, তাই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করুন’। আদালতের কার্যক্রম শেষ করতে লিখিত আবেদনও দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রের অবৈধ কর্তৃপক্ষ আওয়ামী সরকার চক্রান্তমূলকভাবেই দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে সাজা দিয়েছে সেটি আবারও প্রমাণ করলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থ। তিনি হাত-পা নাড়াতে পারেন না, হাঁটাচলা করতে তার মারাত্মক অসুবিধা হয়। চিকিৎসকরা বলেছেন-তার বাম হাত ও পা প্রায় অবশ হয়ে পড়েছে। গুরুতর অসুস্থতার কারণে আদালতে যেতে পারবেন না, খালেদা জিয়া সে কথাটিই বলেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ জোর করে আদালতকে ব্যবহার করে বিচারকার্য ছাড়াই রায় দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এটি সম্পূর্ণরুপে ন্যায় বিচারের পরিপন্থী, অমানবিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। প্রতিহিংসার বিচার চরিতার্থ করতেই তাড়াহুড়ো করার তাগিদ দেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রপক্ষের এই চাপ সরকারের নির্দেশেই হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।