বেতনভুক্ত চালক, নতুবা রুট পারমিট বাতিল
চুক্তিতে পারিশ্রমিক নয়, চালকদের বেতনভুক্ত না করলে বাসের রুট পারমিট বাতিল করে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, এছাড়া সড়কে হেলমেটবিহীন মটর সাইকেল চলাচলের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ডিএমপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার এ সাবধানবাণী উচ্চারণ করেন। মাসব্যাপি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্মসূচি পালন করছে ডিএমপি। সড়কে শৃঙ্খলা না ফেরার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষের আইন না মানার প্রবণতা থাকায় সড়কে শৃঙ্খলা ফিরছে না।
গাড়ির মালিক ও চালকদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, চালকেরা গাড়িতে নিজের মোবাইল নম্বর ও ছবি প্রকাশ্য স্থানে লাগিয়ে রাখবেন। গাড়ি চালানোর পূর্বে ড্রাইভাররা অবশ্যই সমস্ত বৈধ কাগজপত্র আপডেসহট ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে রাখবেন। কোন অবস্থায় ফিটনেস বিহীন ও বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি রাস্তায় নামাতে পারবে না। গাড়ির চালকদের বেতনভুক্ত করতে হবে। কোন অবস্থায় চালকদের চুক্তিভিত্তিক গাড়ি দেয়া যাবে না। যে গাড়ির মালিক এই নিয়ম অমান্য করবেন বিআরটিএ থেকে তাদের রুট পারমিট বাতিল করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, মোটর সাইকেল আরোহী ও চালক উভয়কেই বাধ্যতামূলক হেলমেট পরতে হবে। কোন অবস্থায়ই মোটর বাইকে তিনজন চড়া যাবে না। পেট্রোল পাম্পগুলোকে বলা হয়েছে হেলমেট ছাড়া কোন মোটর সাইকেলে জ্বালানি তৈল না দিতে। অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা নেয়ার জন্য যারা বাইক ও প্রাইভেট গাড়িতে ফ্লাগ স্ট্যান্ড বা স্টিকার লাগিয়েছেন। সরকার অনুমোদিত নয়, দ্রুত এ ধরণের ফ্লাগ ও স্টিকার গাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলুন। এছাড়া যারা গাড়িতে বিকন লাইট, হুটার ও হাইড্রোলিক হর্ণ ব্যবহার করছেন তারাও দ্রুত এগুলো খুলে ফেলুন। অন্যথায় আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
এছাড়া ঢাকা মহানগরীতে ১২১টি বাস স্টপেজ চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্ধারিত বাস স্টপেজ ব্যতীত অন্য কোথাও বাস দাঁড়াবে না এবং যাত্রী উঠা-নামা করাতে পারবে না। আইন অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক স্টপেজ থেকে অন্য স্টপেজ পর্যন্ত বাসের দরজা বন্ধ থাকবে। স্টপেজ ব্যতীত বাসের দরজা খোলা যাবে না। স্টপেজগুলো জেব্রা ক্রসিং ও ফুটওভার ব্রীজ থেকে একটু দুরে করা হবে। ৪০ টি চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি চেক করবে।
পথচারী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, পথচারীরা কোন অবস্থায় যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হবেন না। রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং, ফুটওভার ব্রীজ ও আন্ডারপাশ ব্যবহার করুন। এর ব্যত্যয় ঘটলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়া হবে। কম বয়সী শিক্ষার্থীরা রাস্তা পারাপারের সময় সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সাহায্য নিয়ে নির্ধারিত স্থান দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হবে। সকলকে ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানান ডিএমপি কমিশনার।
মডেল ট্রাফিক সিস্টেম চালুর বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রাজধানীর জাহাঙ্গীরগেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত মডেল ট্রাফিক সিস্টেম চালু করা হবে।ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, লেগুনার কোনো রুট পারমিট নেই। রাজধানীতে এতদিন যারা লেগুনা চালিয়েছে, তারা অবৈধ। কুড়িল পেরিয়ে ৩০০ ফুট সড়ক বা বসিলার মতো শহরের উপকণ্ঠের এলাকাগুলোতে লেগুনা চালানো যাবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।