যে কারণে অবসর নিয়ে ভাবতে বাধ্য হলেন কুক
ত্রিশ বছর বয়সে ১২০ টেস্ট খেলেই ২৮ সেঞ্চুরি হয়ে গিয়েছিল। ভারতীয় ব্যাটিং ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ৫১ সেঞ্চুরি থেকে ‘মাত্র’ ২৪ সেঞ্চুরি দূরে ছিলেন। ভাবা হচ্ছিলো কেউ যদি ভাঙতে পারেন শচীনের রেকর্ড সেটা তিনিই।
কিন্তু এরপর থেকেই ছন্দপতন। পরের ৪০ টেস্টে মাত্র ৪টি সেঞ্চুরি (দুইটাই আবার ডাবল সেঞ্চুরি)। ত্রিশ বছরে ২৮ সেঞ্চুরির মালিককে যেখানে ৩৩ বছরে সবাই দেখতে চেয়েছিল অন্তত ৪০ সেঞ্চুরির মালিক হিসেবে, সেখানে তার নামের পাশে ১৬০ টেস্ট শেষে রয়েছে ৩২টি সেঞ্চুরি।
গত তিন বছর ধরেই চলছিল ক্রমাগত অফফর্ম। যার চূড়ান্ত বলা চলে চলতি বছরকে। গত বছরের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরিতে অপরাজিত ২৪৪ রান করার পর থেকেই রান খরা তার ব্যাটে।
সবশেষ ৯ টেস্টের ১৬ ইনিংসে সাকুল্যে রান করেছেন ২৯৮, শতক নেই একটিও, পঞ্চাশ ছাড়িয়েছেন মাত্র একবার। চলতি সিরিজের সাত ইনিংসে তার সংগ্রহ মাত্র ১০৯, সর্বোচ্চ ইনিংস কেবল ২৯!
ইংলিশ মিডিয়ার ‘অতিরিক্ত’ ধরনের বাড়াবাড়ি সকলেরই জানা। সেখানে তার এমন অফফর্ম ছিল মিডিয়ার জন্য প্লাস পয়েন্ট। যার ফলে চলতে থাকে একের পর এক সমালোচনা। যা আর সইতে পারলেন না ভদ্রলোকের খেলার অন্যতম সেরা এই ভদ্রলোক।
তবে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট হিসেবে ভালো জায়গাই বেছে নিয়েছেন তিনি। লন্ডনের ঐতিহাসিক কেনিংটন ওভাল ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সিরিজের শেষ ম্যাচটাকেই স্থির করেছেন নিজের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ হিসেবে। ওভালে এখনো পর্যন্ত মোট ১২টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। সেঞ্চুরি করতে পেরেছেন ১টি, হাফসেঞ্চুরি করেছেন ৬ বার।
সেই ওভালেই জীবনের শেষবারের মতো ইনিংস সূচনা করতে নামবেন তিনি। সেই ম্যাচে ১৬ ইনিংসের সেঞ্চুরিখরা তথা রানখরা কাটাতে পারলেই মিলবে ইংলিশ মিডিয়া থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের মিডিয়ার স্তুতি, না হয় সমালোচনার আড়ালেই থামতে হবে টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বিজ্ঞাপন অ্যালিস্টার নাথান কুককে।