সাতক্ষীরায় পিতা আমান হত্যার বিচার চাই মেয়ে নিশাত
জেলা মৎস্যজীবী দলের সাবেক সম্পাদক সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ভিপি আমানউল্লাহ আমান হত্যার বিচার দাবি করেছেন তার মেয়ে ।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আমান কন্যা কলেজ ছাত্রী নিশাত তাসনীন বলেন ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির বর্ধিত সভা চলাকালে তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা ফতেমা খাতুনের দায়ের করা মামলায় পুলিশ ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর ৮৯ আসামির মধ্যে ৫৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয়। অভিযোগ করে তিনি বলেন এই মামলার সাক্ষীরা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে যথাযথ সাক্ষী না দেওয়ায় ন্যায় বিচার থেকে তার পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে। নিশাত তার পিতা আমানুল্লাহ আমান হত্যা মামলায় তার দাদী ফতেমা খাতুন , মা হোসনে আরা শিরীন ও তাকে নতুন করে সাক্ষীর করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন আসামিদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন চান্দু ওরফে মাথা মোটা চান্দু আমানকে হত্যার জন্য খুনীদের ভাড়া করে শিল্পকলা একাডেমিতে পৌছে দিয়ে পালিয়ে যায়। সোহেল অমেদ মানিক, ফারুক ড্রাইভার, আইনুল ইসলাম নান্টা, হিমু, কামরুল দরজি,আইউব , কামরুজ্জামান ভুট্টো, আনিছ, মাছুম বিল্লাহ শাহিন, কামরুজ্জামান কামু, তুহিন গাজি, মীর তাজুল ইসলাম রিপন, শিবুল, কাদের বাচ্চু, নুর মোহাম্মদ পাড়, অহেদ মাস্টারসহ চার্জশীটভূক্ত সকল আসামি সাথে জড়িত বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন সেদিন শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিএনপির সম্মেলনে দলের সভাপতি সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলির মধ্যকার দলীয় কোন্দল, এবং পুরাতন সাতক্ষীরার নোংরা রাজনীতির কারণে তার পিতা আমানউল্লাহ আমানকে খুন হতে হয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে নিশাত তাসনীন বলেন ‘ মামলার আর্জি লিখবার সময় বিএনপি নেতারা আমাদের পরিবারের কাউকে সাক্ষী হতে দেন নি। যারা এ মামলার সাক্ষী হয়েছেন তারা সবাই বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত’। তারা ‘টাকায় বেচকেনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন মামলাটি যাতে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে না পারে সেজন্য আমার মা দাদীসহ আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষী হওয়া প্রয়োজন’। এজন্য আমরা আবেদন করেছি। বর্তমানে আদালতে সাক্ষীদের শুনানি চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন এখন সাক্ষীরা আসামিদের সাথে মিলিত হয়ে তাদের খুন জখম করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি এরও প্রতিকার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে নিশাতের মা হোসনে আরা শিরীন উপস্থিত ছিলেন।