আশাশুনিতে অবাধে চলছে জুয়া প্রশাসনের ভূমিকা নিরব
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় গ্রামে প্রতিদিন চলছে জুয়ার রমরমা আসর। দীর্ঘ ৩ মাস যাবৎ বিভিন্ন উৎকোচের মাধ্যমে প্রশাসন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে নির্বিঘ্নে জুয়ার আসর মাতিয়ে তুলছে জুয়ারিরা। স্থানীয় রাজু,রিপন ও সজিব সহ অনেকে জানান, মহিষকুড় গ্রামের মৃত মাওলা সরদারের ছেলে রফিক সরদারের বাড়িতে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত জুয়ার আসর বসানো হচ্ছে। রমরমা এই আসরে চলছে তাশ ও ছক্কা খেলা সহ বিভিন্ন প্রকার জুয়া। জুয়ার আসরে স্থানীয় সহ দুর-দুরান্ত থেকে যুবক,ছাত্র,ভ্যান চালক,দীনমজুর থেকে শুরু করে কোটিপতি পর্যন্ত জুয়ার আসরে এসে হাজার,হাজার টাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হেরে নিঃস্ব হয়ে রিক্ত হাতে বাড়ী ফিরে যাচ্ছে। এই আসর পরিচালনা করছে মহিষকুড় গ্রামের লতিফ মোল্ল্যার ছেলে ইলিয়াস মোল্ল্যা ও তার সহযোগী পার্শ্ববর্তী গাজীপুর গ্রামের আব্দুর গফুর গাজীর ছেলে ফাইজুল গাজী। এ বিষয়ে বাড়ীর মালিক রফিক সরদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন তার বাড়ীতে প্রতিদিন জুয়ার আসর বসানোর জন্য ইলিয়াস ও ফাইজুল তাকে ৩’শত টাকা করে দেই তারপরও তারা তাকে আশ্বস্থ করে বলেছে কোন প্রকার সমস্যা হলে দায়িত্ব তাদের।
জুয়ার আসরের বিষয়ে ইলিযাসের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন জুয়া খেলা চলছে এটা সত্য তবে তার সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে ফাইজুলের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি জড়িত না তবে খেলা চলছে সেটা নিয়নত্রণ করছে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌরভ রায়হান সাদ।
বিষয়টি সমর্পকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৌরভ রায়হান সাদের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ওই স্থানে দীর্ঘ ১ বছর যাবৎ খেলা চলে আসছে মাঝে মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় তবে বর্তমান রমরমা জুয়ার আসর চলছে তবে কারা এর সাথে জড়িত তিনি কিছুই জানেনা। যদি কোন ব্যক্তি তার নাম করে থাকে তাহলে অপপ্রচার চালানোর জন্য বলেছে।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার দেবনাথ বলেন এ বিষয়ে তিনি অবগতনন তবে এমন কিছু ঘটলে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজাবে রহমত বলেন অতিদ্রুত জুয়ার আসর বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
জুয়ার কারণে আশাশুনিতে চুরি,ডাকাতি ছিনতাই বেড়ে চলেছে অতিদ্রুত ওই জুয়ার আসর বন্ধ না হলে ওই এলাকার যুব সমাজ ছাত্র সমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হবে এমনটাই ধারণা করছে এলাকার সচেতন মহল।