দেবহাটায় দূর্ণীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর অমল চন্দ্র
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারী ইন্সপেক্টর অমল চন্দ্রের বিরুদ্ধে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইন্সেস প্রদানের নামে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ২০১১ সালে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পরেন অমল চন্দ্র। বিষয়টি নিয়ে পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে ২০১৩ সালে তাকে শাস্তি মূলকভাবে বদলি করা হয় শ্যামনগরে। সেখনে বছর যেতে না যেতে বিভিন্ন মহলে তদবির করে আবারও দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে আবার তিনি শুরু করেছেন দুর্নীতি ও অনিয়ম।
দেবহাটা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ফুলবাড়িয়ায় ২টি, চালতেতলায় ২টি, পাতাখালিতে একটি, পারুলিয়া বাজারে ১৮টি, সখিপুর বাজারে ৪৫টি, ধোপডাঙ্গায় ৪টি, পাচপোতায় একটি, সখিপুর মোড়ে ৯টি, কামটায় ৩টি, ঈদগা বাজারে ১৪টি, মাঘরী ৩টি, চন্ডিপুরে ৪টি, দেবহাটায় ১৫টি, সুশিলগাথীতে ৩টি, টাউনশ্রীপুর ১১টি, চর শ্রীপুর ২টি, রহিম পুরে ২টি, পাতাখালিতে একটি, ঘলঘলিয়ায় ৫টি, ভাতশালায় একটি, চাদপুরে ২টি, নাংলায় ৭টি, হাদিপুরে ৭টি, কুলিয়ায় ৯১টি, সুবর্ণাবাদ ১০টি, টিকেট ৮টি, কোমরপুরে ৫টি, সেকেন্দ্রায় ৫টি, গরুরহাটে ৩টি সহ মোট ৩৮২টি হোটেল, মুদিখানা, বেকারী, ভ্যরাইটিস, চানাচুর ফ্যাক্টারী, আইসক্রিম ফ্যাক্টারী, মাছের আড়ৎ, মৎস্য ডিপোসহ কাঁচা-পাঁকা ফল ও খাবারের দোকানে লাইন্সেস নবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলায় রয়েছে কয়েক শত দোকান। যার অধিকাংশতে লাইন্সেস নেই। লাইন্সেস বিহীন এ সকল প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন না অমল চন্দ্র।
তাছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজারে ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে অভিযান ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানে শুরুর আগেই ব্যাবসায়ীদের সতর্ক করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। তিনি সরকারি নিয়ম বহিরর্ভূত ভাবে লাইন্সেস নবায়ন ফি বাবদ বার্ষিক ২শ’ ৫০ টাকার পরিবর্তে ৭শ’ থেকে ১ হাজার’ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। আর এ অর্র্থের একটি অংশ ডিস্ট্রিক্ট স্যানিটারী ইন্সপেক্টর রথিন্দ্র নাথকে ভাগ দিয়ে নিজের চেয়ার ঠিক রেখেছেন বলে বিশ্বস্থসূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে অমল চন্দ্রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কি আর সাধে টাকা নেয়, আমার উপরের বসকে টাকা দিতে হয় বলেইতো বেশি টাকা নেয়।
জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর রথিন্দ্র নাথ বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।