১৫০ জন যুবকের ৯০ লাখ টাকায় ১১০০ মিটার ভাসমান সেতু তৈরি

 চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রথম ভাসমান সেতুর উদ্বোধনের পর এবার তার পাশেই তৈরি করা হয়েছে দ্বিতীয় ভাসমান সেতু। যার নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু। স্থানীয় বেশ কিছু যুবকের নিজস্ব অর্থায়নে প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর লোহার পাত দিয়ে তৈরি হয়েছে সেতুটি। সেতুটির কারণে যাতায়াতে সুফল পেয়ে দারুণ খুশি এলাকাবাসী।
যশোরের মনিরামপুরে বিশেষজ্ঞ ছাড়াই স্থানীয় ১৫০ জন যুবকের নিজস্ব অর্থায়নে ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে দ্বিতীয় ভাসমান সেতু। যার নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু। প্রয়োজনের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন এ সেতুটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। রাজগঞ্জ বাজারের সঙ্গে ঝাঁপা গ্রামের মানুষের আদিকাল থেকে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল নৌকা। এ দুটি গ্রামের মধ্যে ঝাঁপা বাওড় হওয়ায় ঝাঁপাবাসী নৌকায় পার হয়ে বাজারে আসতেন। একইভাবে নৌকা পার হয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করতো শত শত শিক্ষার্থী। গ্রামবাসীর বহু বছরের এই দুর্ভোগ নিরসনে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে গঠন করা হয় ‘ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশন’। পরে বিশেষজ্ঞ ছাড়াই সংগঠনের নিজস্ব পরিকল্পনায় ৫ মাসের প্রচেষ্টায় নির্মাণ করা হয় বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুটি। স্থানীয়দের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সেতুর উন্নয়নে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোসহ সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য স্বপন ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ‘আমার মাধ্যমে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের মাধ্যমে কোনোভাবে যদি; তাদেরকে অর্থায়ন করা সম্ভব হয়, এটি করবো। এই ব্রিজটি যাতে সচল থাকে, সে ব্যবস্থা করবো।’ বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুটি নির্মাণে ব্যবহার হয়েছে ১৪৫০টি প্লাস্টিকের ড্রাম, ১৬৮০টি লোহার এঙ্গেল পাত ও ২৪০টি লোহার শিট। লোহার পাত দিয়ে একের পর এক ড্রাম যুক্ত করে দৈর্ঘ্যে ১১০০ মিটার ও প্রস্থে ১২ মিটার এ সেতুটি নির্মিত হয়েছে।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)