বেত্রবতী নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ
সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌর সদরের বেত্রবতী নদীর উপর বাঁশ-কাঠের ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে পড়েছে। যে কোন সময় একটা বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। নদীর উপর একমাত্র পাকা ব্রিজটির বিকল্প হিসেবে এই বাঁশ-কাঠের ব্রিজ অত্যন্ত অবহেলা ও দৈন্যদশা দৃশ্যমান। অথচ নদী পারাপারের জন্য ব্রিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কলারোয়া বাজারের সঙ্গে নদীর ওপারে মুরারীকাটি, পালপাড়া, মির্জাপুর। এসব এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য বাঁশের ব্রিজটির অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও উপযোগিতা রয়েছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে গত কয়েক বছর আগে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয় এটি।
কলারোয়া মাছ বাজারের ভেতরে রয়েছে একটি বাঁশের ব্রিজ, যার উপর দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয় শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ। বর্তমানে বাঁশ-কাঠের সাকোঁটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে কোনো দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন সাধারণ মানুষ। দুপারের মানুষের উপকার হিসেবে বিবেচিত এই ব্রিজটি পাকাকরণ করে নতুন ভাবে তৈরি করার দাবি উঠেছে।
কাঠের পুলের মাথার চায়ের দোকানদার নূরুল ইসলাম জানান-সরকারি কর্মকর্তা ও জন প্রতিনিধিদের বারবার জানানো হলে তারা শুধু আশ্বাসের বাণী দেন তবে কোনো কাজের কাজ হয় না।
শ্রীপ্রতিপুর এলাকায় বসবাসকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম জানান, কলারোয়া বাজারের মূল কেন্দ্র চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। বৃষ্টির পানির চাপে ভেঙে গেছে বাঁশ-কাঠের এই ব্রিজটি। অধিকাংশ জায়গায় বাঁশ ও কাঠের পচন ধরেছে।
আহসাননগর থেকে আসা পথচারী আজমল হোসেন জানান- কাঠের পুল দিয়ে চলতে খুব ভয় লাগে। যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশ-কাঠের এই পুলটি দেখার জন্য কেউ যেন নেই। পুলটি কলারোয়া বাজারের মূল কেন্দ্রের সাথে মিলিত হয়েছে। সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় ভাঙা মগ্ন, কাঠের পুলটি দিয়ে। এমনকি প্রতিনিয়তো ছোট-খাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, অল্প কিছুদিন আগে তিনি দ্বায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন। কিন্তূ চেক পাওয়ার ক্ষমতা তিনি বুঝে পাননি। তবে ঈদের পরে স্থানীয় কমিশনার আলফাজ উদ্দিন ও কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন কে নিয়ে দ্রুত ব্রিজটির সংস্কার কাজ করবেন।