জামায়াতকে ছাড়াই নির্বাচনে জয় সম্ভব : বিএনপি
জামায়াতকে নিয়ে নতুন করে ভাবছে বিএনপি। জাতীয় নির্বাচনে এককভাবেই জয় সম্ভব জানিয়ে দলটির নেতারা বলছেন এখন একলা চলার সময় এসেছে। ভোটের মাঠে জামায়াতের জনপ্রিয়তা নেই দাবি করে আসন বণ্টন নিয়ে কোনো ছাড় দিতেও রাজি নন দলের নীতি নির্ধারকেরা
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটবন্ধ হওয়ার পর থেকেই দলের ভেতরে-বাইরে এবং দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়ে বিএনপি। জবাবে দলটি বলছিলো এই মিত্রতা আদর্শিক নয় শুধুই নির্বাচনি জোট। তবে সিলেট সিটি নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থীর ভরাডুবিতে তাদের জোটে রাখার যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিএনপিতে।
নানা ইস্যুতে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের দাবি তৃণমূলসহ শরিক দলগুলোও। তবে কৌশলগত কারণে এখনই এ বিষয়ে নেতিবাচক ঘোষণা দিতে রাজি নয় দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, কোনো নেতিবাচক ঘোষণা দিলে জামায়াতের মধ্যে নানা রকমের ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হবে। আমরা সেটা এখনো বলতে চাই না। কারণ আমরা একটি জোটের মধ্যে রয়েছি। আমরা আলাদা চিন্তা করতে পারছি না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জামায়াত তাকে যেভাবে মাপে, যত বড়ভাবে মাপে তত বড় নয় জামায়াত। আমাদের জন্য সুবিধা হলো পরবর্তী পর্যায়ে তাদের কোনো অযৌক্তির আবদার বাতিল করার ক্ষেত্রে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো। সাধারণ জনগণ যদি নিজের ভোট নিজে দিতে পারে তাহলে বিএনপি একাই যথেষ্ঠ।
১৯৯১ সালে একক নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে দলের নীতি নির্ধারকেরা বলছেন, আগামীতেও একাই নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে বিএনপি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহম্মেদ আজম খান বলেন, জোটের রাজনীতি, জোটের নির্বাচন, জোটের আন্দোলন, জোটের আসন বন্টন এই সামগ্রীক বিষয় নিয়েই আমার মনে হয় এখন নতুন করে চিন্তা করার সময় এসেছে। নতুন করে পথ চলবার সময় এসেছে। নির্বাচন সকল রাজনৈতিক দল আলাদা আলাদা করলেন, আর নির্বাচনের পর লাইফ মাইন্ডেট থাকবেন। তারা ঐ সরকার গঠনে অ্যালাইন্স হতে পারে।
তারা আরো বলছেন বিশ দলীয় জোটে জামায়াত থাকায় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না বেশ কটি রাজনৈতিক দল।