Post Views:
৪৩০
আমিরুজ্জামান বাবু: সীমান্ত এলাকায় ঈদ পরবর্তী পশুর চামড়া পাচার বন্ধ করার জন্য ৩৩ বিজিবি কঠোর অবস্থান জোরদার করেছে। বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান সরকার জানান, তার অধীনে ১২টি বিওপি ক্যাম্পের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চোরাচালানি হতো কাকডাঙ্গা ও মাদরা বিওপি দিয়ে। ইতোমধ্যে তিনি কাকডাঙ্গা ও মাদরা বিওপি এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে চিহ্নিত চোরাকারবারি সনাক্ত করেছেন। ক্যাম্পে বসিয়ে তাদেরকে চোরাচালানি বন্ধ করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন এবং তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেন, আপনারা তাদেরকে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন কাজ যেমন কাবিটা, স্বেচ্ছাশ্রমরের কাজে লাগান। দেখবেন তারা আর চোরাচালানের কাজে যাবে না। এরপরও যদি কেউ রাতের আঁধারে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়, তাহলে তাদের স্ত্রীরা আমাকে জানাবেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, কাকডাঙ্গা বর্ডারের তরিকুল, আমিনুল ও তৌহিদুলসহ ১২জন এবং মাদরা বর্ডারের সবুজ, হেলাল, জহুরুলসহ ১৭ জন মোট চিহ্নিত ২৯ জন চোরাকারবারি ও তাদের স্ত্রীরা আমার কাছে এসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে লিখিত দিয়ে গেছেন। তারা আর কখন চোরাচালানির সাথে যুক্ত হবে না।
৩৩ বিজিবি অধিনায়ক সাংবাদিকদের জানান, পর্যায়ক্রমে বাকী বিওপিগুলোর অধীনে যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা আছে তাদের মাধ্যমে স্থানীয় চোরাকারবারিদের ডেকে নিষেধ করে দেওয়া হবে। তারা যেন আর কখনও চোরাকারবারি না করে। এরপরেও যদি কেউ অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Please follow and like us:
20