আশাশুনিতে গৃহবধূকে নির্যাতনে থানায় এজাহার দায়ের
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে গৃহবধূ তানজিলা খাতুনকে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। গৃহবধূ তানজিলা খাতুন বাদী হয়ে সোমবার বিকালে আশাশুনি থানায় উক্ত এজাহারটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের মৃত রুহুল গাজীর ছেলে বাবলু গাজী (৩০) ও তার মা আম্বিয়া বেগম (৫০)।
মামলার বিবরনে জানা যায়, খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার বাইলাহারনিয়া গ্রামের সৈয়ল উদ্দীনের মেয়ে তানজিলা খাতুনের সাথে আশাশুনি উপজেলার চেউটিয়া গ্রামের বাবলু গাজীর ৭ বছর আগে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বাবলু যৌতুক হিসেবে নগদ একলক্ষ টাকা ও ৬০ হাজার টাকার মালামাল গ্রহণ করে। বিয়ের পর তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম তামিম হাসান (৫)। বিয়ের পর থেকে বাবলু বিভিন্ন সময় তার মা আম্বিয়া খাতুনের যুক্তি পরামর্শে স্ত্রী তানজিলার কাছে এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে তানজিলা খাতুন নির্যাতন সইতে না পেরে তার ও তার সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে সে তার বাবার বাড়ি খুব কষ্টে ত্রিশ হাজার টাকা জোগাড় করে তার স্বামীকে দেয়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই বাকী ৭০ হাজার টাকার জন্য আবারও প্রচণ্ড নির্যাতন শুরু করে বাবলু। এই টাকা না দিতে পারায় বাবলু তার স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে গোপনে মরিয়ম নামের এক মেয়েকে আবারও বিয়ে করে। বিয়ের পর গত ১৪ আগস্ট বাবলু তার মায়ের যুক্তি পরামর্শে যৌতুকের বাকী ৭০ হাজার টাকার দাবী করে। এতে সে অপরাগতা প্রকাশ করলে বাবলু কাঠের চলা দিয়ে তার স্ত্রীর ডান কপালে রক্তাক্ত ও জখম করে। এক পর্যায়ে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথায় বাড়ি মারতে গেলে তার স্ত্রীর ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার বুড়ি আঙ্গুল ভেঙ্গে যায় এবং সে তাকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় কুদ্দুস ও হোসেন আলী নামের দুই ব্যক্তি তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে গৃহবধূ তানজিলা তার স্বামী বাবলু গাজী ও শাশুড়ি আম্বিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবীতে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এ.এস.আই ফেরদাউস জানান,গৃহবধূ তানজিলা খাতুন বাদী হয়ে তার স্বামী ও শাশুড়িকে আসামী করে থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছে। যা তদন্ত পূর্বক ব্যবস্তা গ্রহন করা হবে।