কলারোয়ার আলোহীন এক গ্রামের কথা
বিদুৎহীন এক জনপদের নাম কলারোয়ার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের শাকদাহ মাঠ পাড়া গ্রাম।
শুধু বিদ্যুতহীন-ই নয়, রাস্তাঘাট অত্যন্ত নাজুক অবস্থা। এই গ্রামটিতে পাকিস্তান আমলের একটি কালভার্ট ভঙ্গুর হয়ে পড়লেও আজো পর্যন্ত সেটা মেরামত কিংবা নতুনভাবে তৈরি করা হয়নি। অথচ পাঁচ শতাধিক ফসলি জমিতে চাষাবাদ আর পুকুর-ঘেরে মাছ চাষে এলাকার মানুষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শরীক হচ্ছেন।
শাকদাহ মাঠপাড়া ওই গ্রামের ৫০টি পরিবারের ৩শতাধিক বাসিন্দা রয়েছেন বিদ্যুতহীন আর অবহেলিত অবস্থায়। রাস্তাঘাটের জরাজীর্ণতায় একটু বৃষ্টি হলেই দূরদূরান্তের স্কুল-কলেজে যেতে পারে না স্থানীয় শিক্ষার্থীরাও। সন্ধ্যা নামলেই ঘুটঘুটে অন্ধকারে গ্রামটি ভুতুড়ে অবস্থার সৃষ্টি হয় গ্রামটিতে। বিদ্যুতের অভাবে পড়ালেখার যেমন সমস্যা হচ্ছে ঠিক তেমনি স্বাভাবিক জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে।
গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আলমগীর হোসেন জানান-বিদ্যুৎ না থাকায় সন্ধ্যার পর টর্সলাইট নিয়ে রাস্তায় চলতেও ভয় পাই। রাতে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য এখানে কেউ আসতেও চায় না আবার এখান থেকে নিয়ে যাওয়াও মুস্কিল। গ্রামটিকে ঘিরে ৫’শতাধিক ফসলি জমি, কয়েকটি ডিজেলচালিত ডিপটিবওয়েল, মসজিদ, ঘরোয়া মন্দিরসহ বাড়ি-ঘর সম্বলিত হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রীতির এ গ্রামটি আধুনিকতার ছোয়া যেনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সবমিলিয়ে বিদ্যুৎ আর রাস্তা উন্নয়ন হলে অবহেলিত এ গ্রামটির বাসিন্দারা কৃতজ্ঞ থাকবে সংশ্লিষ্টদের প্রতি। কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলামুল আলম আসলাম জানিয়েছেন-রাস্তা সংস্কারের চেষ্টা চলছে। আর নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে কথা হয়েছে।