কুয়াকাটায় নিজ ঘরে স্কুলছাত্রীর বিবস্ত্র লাশ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় নিজ ঘর থেকে এক স্কুলছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার রাতে জেলার মহিপুর থানার সেরাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুটি মহিপুর হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।সে একই এলাকার ইসমাইল ঘরামী মেয়ে।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার লোকজন রাতে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামগুলোতেও। ঘটনার সময় নিহত শিশুটির বাবা ইসমাইল ঘরামী ঘরে ছিলেন না।
নিহত শিশুর চাচা( মো. ইউসুফ ঘরামী জানান)রাত সাড়ে ৮টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ভাই ইসমাইল ঘরামীর ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় মা সালামা বেগম দৌড়ে পাশের বাড়ি গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। পরে চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে ঘরে ছোট্ট দুই শিশুকে দেখতে পেলেও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ইভাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ঘরের দোতলায় বিবস্ত্র অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায়।
এ সময় তার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখে স্থানীয়রা কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল থেকে সেরাজপুর গ্রামের আবুল কালাম যুগান্তরকে বলেন, ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা ধারণা করছি।
কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালের ডা. আরিফুজ্জামান জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি তিনি।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য মো. মামুন হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে এসে আমরা শিশুটির গোপনাঙ্গ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে দেখেছি।
মহিপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, এলাকায় ডাকাতের গুজব রয়েছে। তবে কি কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এটি এখনও সুস্পষ্ট নয়।
শিশুটি ধর্ষণ-পরবর্তী হত্যা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে বলা যাবে না। এ ছাড়া শিশুটির মায়ের সঙ্গে কথা বলে বোঝা যাবে কী হয়েছিল বলে জানান ওসি।।।