কুল্যায় ওয়াপদার গাছের ডাল কেটে মুড়ো
আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় পাউবো’র বেড়ী বাঁধের স্লোবের অসংখ্য গাছের ডাল কেটে গাছ মুড়ো করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে গুনাকরকাটি ব্রীজের পূর্ব পাশে ওয়াপদার বেড়ীবাধের স্লোবে বহু বাবলা গাছ আছে। আইনকে তুয়াক্কা না করে রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব থাকা হায়দার মোল্যা গাছের ডাল বিক্রী করে দিয়েছেন। ফলে গাছ মুড়ো করে ডাল কেটে নেওয়া হচ্ছে গত ৩ দিন ধরে। সাতক্ষীরা পাউবো থেকে ২০০৬ সালে গুনাকরকাটি এলাকার মৃত মানিকচান মোল্যার ছেলে হায়দার মোল্যাকে ৬/৮ নং পোল্ডারের গুনাকরকাটি থেকে বাহাদুরপুর পর্যন্ত ওয়াপদার বেড়ীবাঁধের স্লোবে লাগানো নারিকেল ও বাবলা গাছের রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান হায়দার মোল্যা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গাছ মুড়ো করে গাছের ডাল স্থানীয় মৎস্য ঘের মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেন। তারই অংশ হিসেবে প্রতিবছরের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে তিনি কচুয়া গ্রামের সাঈদুল ঢালী, গুনাকরকাটি গ্রামের খালেক সরদারের পুত্র মইনুর ইসলাম সহ আরও অনেকের নিকট মোট ৬হাজার ৪শত টাকার বিনিময়ে অর্ধশত বাবলা গাছ মুড়ো করে গাছের ডাল কেটে বিক্রি করে দেন। পাওবো’র চুক্তি পত্রে স্পষ্ট ভাষায় লেখা আছে যে উক্ত গাছ রক্ষনাবেক্ষনের জন্য তিনি কোন প্রকার টিএ, ডিএ বা আর্থিক সুযোগ সুবিধা পাবেন না। তারপরও তিনি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেআইনি ভাবে প্রতিবছর তিনি চুক্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গাছের ডাল কেটে গাছ মুড়ো করে বিক্রি করে দেন। এতে করে প্রতি বছর অনেক গাছ শুকিয়ে মারাও যায় বলে জানান স্থানীয়। এব্যাপারে হায়দার মোল্যা জানান, গাছের ডাল বিক্রি না করলে আমি খাব কি? গাছের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্বে থাকা কালিন প্রতি বছরই গাছের ডাল কাটবো। এব্যাপারে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।