সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরীর যাতাকলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলী
বিসিক শিল্পনগরীতে তারকাটা তৈরির ব্যবসা করতে যেয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলীর। তিনি সহযোগিতা পাওয়ার জন্য মূলধন ও মেশিনারিজ পাওয়ার লক্ষ্যে বিসিক প্রধান বরাবর আবেদন করেছেন। এতে তিনি সহযোগিতা তো পাননি উপরন্তু তার নামে একটি মামলা হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী ও বিসিক প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার প্রতিষ্ঠানটি চালুকরণে সহযোগিতা চেয়েছেন।
সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন শহরের উত্তর কাটিয়ার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহাজান আলী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সাতক্ষীরা বিসিকের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি তার কাপড়ের ব্যবসা বন্ধ করে ডালমিলের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এরপর ধোলাইখাল মডেল নামের একটি প্রজেক্টের জন্য ১৯৮৯ সালে দরখাস্ত দেন তিনি। এ সময় ১০ লাখ টাকার ঋণ চাইলেও বিসিক দেয় ৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। তিনি বলেন, অনুমোদন পেয়ে তিনি তারকাটা তৈরির প্রজেক্ট হাতে নেন। কিন্তু স্বল্প পুঁজিতে প্রকল্প চালাতে ব্যর্থ হয়ে তিনি ফের টাকার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু তিনি টাকা পাননি। ফলে তার প্রজেক্ট মার খেতে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন প্রতি মিনিটে ২৫০ পিস পেরেক উৎপাদন হয়।
মুক্তিযোদ্ধা শাহাজান আলী আরও বলেন, তিনটি তার টানার মেশিন প্রয়োজন হলেও বিসিক থেকে একটিমাত্র বরাদ্দ পান তিনি। এতে ২৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করায় মেশিনটি পর পর দুইবার ভেঙে যায়। পরে বাধ্য হয়ে তিনি সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে আরেকটি ড্রইং মেশিন ক্রয় করে করখানা চালু করে বিসিককে অবগত করেন। কিন্তু বিসিক তা দেখতেই আসেনি। এতেও উৎপাদন না বাড়ায় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকেন। এ সময় তার আবেদন অনুযায়ী বিসিক একটি কমিটি তৈরি করে দেয়। কিন্তু কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়িত হয়নি। দ্বিতীয়বার ক্রয় করা ড্রইং মেশিনটি দিয়ে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মেশিনটি ভেঙে যাওয়ায় কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর তার অনুরোধ অনুযায়ী বিসিক প্রধান ডা. জামশেদ শাহাজান আলীর অনুকূলে মূলধন ও মেশিনারি দেওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি বরং তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শাহাজান আলী প্রতিষ্ঠানটি চালু করতে বিসিকের আরও ঋণ দাবি করেছেন এবং একই সাথে বিসিকের দেওয়া মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।