সকালে হাসি ফোটালো টাইগাররা
সকাল সকাল ২০ কোটি মুখে হাসি ফোটালো সাকিব-তামিমরা। স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১২ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা আনলো টাইগাররা। সাত বছর পর ক্যারিবিয়দের হারিয়ে তাই খুশি এখন পুরো দেশ।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টাইগারদের দেয়া ১৭২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে টাইগারদের বোলিং তোপে পড়ে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে ওইন্ডিজরা।
তিনটি করে উইকেট নিয়েছে মোস্তাফিজুর রহমান ও নাজমুল ইসলাম। দুইটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও রুবেল হোসেন নিইয়েছেন ১টি উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজ। দলীয় ৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১ রানের মাথায় এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন এভিন লুইস। এরপর দলীয় রান যখন ৩৩। তখন ১৭ রান করা আন্দ্রে রাসেলকেওে সাজঘরে ফেরান মোস্তাফিজ।
মোস্তাফিজের পথেই হাঁটেন সাকিব। ১০ রান করা মারলন স্যামুয়েলসকে তুলে নেন তিনি। স্যামুয়েলস যখন আউট হন তখন তাদের দলীয় স্কোর ছিলো ৪৮ রান। মারলন স্যামুয়েলসকে ফিরিয়ে সেই চাপ অব্যাহত রাখেন সাকিব আল হাসান। তাতে বাড়তি পারদ জোগান রুবেল হোসেন। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান দিনেশ রামদিনকে।
একে একে টপর্ডারের সবাই ফিরলেও টিকেছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। রোভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে দুরন্ত গতিতে ছুটছিলেন তিনি।ধীরে ধীরে ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন।অবশেষে হার মানেন ক্যারিবীয় ওপেনার।নাজমুল ইসলামের দুর্দান্ত ঘূর্ণিতে তালগোল পাকিয়ে সাকিবকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ফ্লেচার। তার আগে ৩৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানের সংগ্রামী ইনিংস খেলেন তিনি।পরক্ষণেই ক্যারিবীয় দলপতি কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে তুলে নেন সাকিব। ৮ম ও ৯ম উইকেটটি তুলে নেন নাজমুল ইসলাম।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় এ ম্যাচটি রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় শুরু হয়। এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৭১ রান করে সাকিববাহিনী। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন তামিম ইকবাল।
টসে হেরে ব্যাটিং এ নেমে শুরুতেই লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৭ রানের মাথায় লিটন দাস (১) ও ২৪ রানের মাথায় মুশফিকুর রহিম (৪) সাজঘরে ফিরে যান। এরপর দলীয় ৪৮ ও ব্যক্তিগত ১৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সৌম্য সরকার।
দলের হাল ধরতে ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। এর পরের গল্পটা মধুময়। কেননা সাকিব-তামিম জুটি থেকে মূল্যবান ৯০টি রান। তাদের দুইজনের ঝড়ো ইনিংসে অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। দলের রান যখন ১৩৮ তখন আন্দ্রে রাসেলকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হন তামিম।
৪৪ বলে ৭৪ রান করেন তামিম। তার এই ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার মার রয়েছে। এরপর রিয়াদকে সাথে নিয়ে দলের রানের চাকাকে সচল রাখেন সাকিব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও ফিরে যান। দলীয় ১৬৭ ও ব্যক্তিগত ৬০ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। এরপর আর কোনো উইকেটের পতন ঘটেনি।
শেষ পর্যন্ত ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৩ ও আরিফুল হক ১ রানে অপরাজিত থাকেন। ক্যারিবীয়দের হয়ে নার্স ও পল নেন ২টি করে উইকেট।
৭৪ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তামিম ইকবাল।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন কুমার দাস, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আরিফুল হক, আবু হায়দার রনি, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু ও রুবেল হোসেন।
উইন্ডিজ একাদশ: আন্দ্রে ফ্লেচার, এভিন লুইস, মারলন স্যামুয়েলস, দিনেশ রামদিন, কার্লোস ব্রাথওয়েট, রোভমান পাওয়েল, আন্দ্রে রাসেল, অ্যাশলে নার্স, স্যামুয়েল বদ্রি, কিমো পল ও কেসরিক উইলিয়ামস।