দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল চারজনের
শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার কেলিয়া নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের কারও পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গাগামী সূর্য্যমুখী পরিবহণের যাত্রীবাহী বাসের (পাবনা-ব-১১-০০১২) সঙ্গে ধামরাইয়ের ঢুলিভিটাগামী সেতু পরিবহণের একটি পোশাকশ্রমিক বহনকারী বাসের (ময়মনসিংহ-ব-০৫-০০০৪) মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুটি বাসের সামনের অংশ ভেঙেচুড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে আরও একজন মারা যান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। আহতদের মধ্যে মনিরা খাতুন, আব্দুর রফিক, করিম, মামুন ও তপনসহ ১১ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পরই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ইউনুস আলীসহ অনেকে জানান, সেতু পরিবহনের বাসের চালক ও হেলপার ১৩-১৪ বছরের। ওই বাসটির মালিক ধামরাইয়ের চন্দ্রাইল এলাকার নয়ন মিয়া।
এদিকে আহতদের প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক না থাকায় স্থানীয় জনতা বিক্ষোভ করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজনীন আক্তার জানান, ছুটিরদিন হওয়ায় চিকিৎসক ও নার্সের সংকট রয়েছে। এরপরও ১১ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চারটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এব্যাপারে ধামরাই থানার এসআই জুলফিকার হায়দার জানান, নিহতদের পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।