ইলিয়াস কাঞ্চনের হুঁশিয়ারি ‘শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে রাস্তায় নামবো’ডে
ক’দিন ধরেই উত্তাল ঢাকা। শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দু’জনের নিহতের ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে গত সপ্তাহ ধরে বিমানবন্দর সড়কের এমইএস মোড়সহ ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, ডেইলি বাংলাদেশের ৩১ জুলাই প্রকাশিত একটি খবরে উল্লেখ করা হয়েছে ‘সড়কের মড়ক থেকে বাঁচাতে…’ রাস্তায় নামছেন নিসচা। সে কথা অনুযায়ী আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে ইলিয়াস কাঞ্চনের সংগঠন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ (নিসচা)।
সড়ক দুর্ঘটনারোধে কার্যকর পদক্ষেপ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে সকাল সোয়া ১১টার দিকে ইলিয়াস কাঞ্চন আনুষ্ঠানিকভাবে এই মানববন্ধন শুরু করেন। তবে এর আগে সকাল ১০টা থেকেই বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিগতভাবেও অনেকে এতে যোগ দেন।
মানববন্ধনে নিসচা প্রধান (ইলিয়াস কাঞ্চন) বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের কাজ আগামী রোববার থেকে শুরু করতে হবে। তা না হলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরাও আন্দোলনে থাকবো এবং রাস্তায় নামবো।
মূলত, শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দু’জনের নিহত ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পায়েলের মৃত্যুসহ নানা সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের ডাক দেন নিচসা’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে একাত্মতা প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দায়িত্বহীন বক্তব্যেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান।
মানববন্ধনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সম্প্রতি এসব দুর্ঘটনায় সারাদেশের মানুষের বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা দেশের সড়ককে নিরাপদ করার লক্ষ্যে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে মাঠেই রয়েছি এবং মাঠে থাকবো যতদিন না নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন হয়।
বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত টানা এক ঘণ্টা এই মানববন্ধন ও সমাবেশ চলে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আব্দুল করিম নিহত হয়।
ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বিমানবন্দর সড়কের বাঁ-পাশে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তারা। সে সময় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস তাদের চাপা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা জাবালে নূর পরিবহনের ওই বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় ও শতাধিক বাস ভাঙচুর করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণ ও নৌপরিবহনমন্ত্রীর অনৈতিক বক্তব্যের প্রতিবাদসহ ৯ দফা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। গত পাঁচ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা রাজধানীতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করছে তারা।