সিলেটের অপেক্ষা বাড়ল
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফলের প্রতিক্ষার সময় বাড়ল।সোমবার সকালে শুরু হয়ে টানা ভোগ গ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা।
কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি ও এজেন্টদের মারধরের অভিযোগও উঠে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ব্যতিক্রম ছিলো রাজশাহী ও বরিশাল সিটিও। বরিশাল সিটিতে বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজেই ভোট দেননি। অপরদিকে রাজশাহীতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মাঠে থাকলেও ভোট গণনায় স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। অন্য দুই সিটিতে যখন বিএনপির প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না তখন সিলেটের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ভোটের হিসেবে সমান পাল্লা দিচ্ছেন।
সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী ১৩৪ টি কেন্দ্রের (দুইটি স্থগিত) মধ্যে ১০৫ টির ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্র্থী বদর উদ্দিন কামরান পেয়েছেন ৭০ হাজার ৮৯৪ ভোট এবং বিএনপির দলীয় মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৬৭৩ ভোট। এখনো ২৭ টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি। যদিও ভোট গণনা প্রথম দিক থেকে এক প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফলের পর পাল্টে যাচ্ছে সকল হিসেব। খোদ কামরান তার নিজের কেন্দ্রে পাশ করতে পারেননি। পারেননি ইভিএমের দুটি কেন্দ্রের। এছাড়া প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে দুজনই সমান ভোট পেয়েছেন।
এদিকে স্থগিত হওয়া দুটি কেন্দ্রের সর্বমোট ভোটার রয়েছেন ৪৭৮৭ জন। এরমধ্যে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের শাহগাজী সৈয়দ বোরহান উদ্দিন (রহ.) মাদ্রাসা (১১৬) (এলাকা টুলটিকর, কল্যাণপুর শাপলাবাগ, মিরাপাড়া পশ্চিম) কেন্দ্রে মোট ভোটার ২২২১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১১৫৩ জন এবং ১০৬৮ জন মহিলা।
অপরদিকে ২৭ নং ওয়ার্ডের হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৩৪) (হবিনন্দি, সামাল হাসান, মজলিসপুর, আলমপুর) কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৫৬৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩২৫ আর মহিলা ভোটার ১২৪১ জন।
যদি সিসিকের অনুষ্ঠিত ১৩২ টি কেন্দ্রের ফলাফলে মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী আর বদর উদ্দিন আহমদ কামরানে মধ্যে স্থগিত হওয়া দুইটি কেন্দ্র মিলিয়ে সর্বমোট ৪৭৮৭ টি ভোটের কম ব্যবধান থাকে তাহলে নগরপিতা পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকদিন।
ভোট গণনার শুরু থেকে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে কখনো ব্যবধান দুই হাজারের বেশি হয়নি। সেই হিসেবে ঠিক থাকলে নগরপিতার জন্য আরো কয়েকদিন অপক্ষো করতেই হবে নগরবাসী।