সাতক্ষীরার তালায় ছাত্রলীগ’র ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে চলছে তীব্র উত্তেজনা !
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে উপজেলা কমিটির অনিয়ম ও অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেওয়াতে বিভিন্ন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতাদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি প্রকাশ করলে ত্যাগী ৪নেতা উক্ত কমিটি থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করেছে। তারপর ১লা জুলাই ১নং ধানধিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সেই কমিটিতে জামায়াত শিবির পরিবারের নাশকতা সৃষ্টিকারী ও মামলার পরিবারের সন্তান শিবির কর্মী নাহিদ হাসান প্রান্ত এর নিকট থেকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে সভাপতি এবং আবু রায়হানকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি ইউনিয়ন কমিটি দেওয়া হয়। আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ সম্পাদক রায়হান স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন এবং ফেইসবুকে একটি পোষ্ট করে। পরবর্তীতে গত ২০ জুলাই ১০নং খেশরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটিতে মুড়াগাছা গ্রামের বাসারাত শেখের ছেলে মোস্তফা মানোয়ারকে সভাপতি করা হয়েছে। মোস্তফা মনোয়ার ২০১১ সালে খেশরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের একজন কর্মী ছিলো। সে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী এবং তার পরিবার জয় বাংলা স্লোগানের বিরোধী। তার নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ এই কমিটি দিয়েছে। এতে এলাকায় আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের ভিতরে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার হরিহরনগর গ্রামের অলিউল ইসলামের ছেলে ১০নং খেশরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক সুমন হোসেন গোলদার উক্ত কমিটির প্রতিবাদে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এভাবে যদি টাকার বিনিময়ে জামাত-বিএনপি পরিবারের সন্তানদের কমিটি দেওয়া হয় তাহলে ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতারা যাবে কোথায় এমন প্রশ্ন উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মিদের। অন্যদিকে ছাত্রলীগের তালা উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ সাদী বলেন, ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা ছাত্রলীগ সংগঠনটি সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। একটি কুচক্রীমহল উপজেলা ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে এমন অপপ্রচার করছে।