কলারোয়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান
‘স্বয়ংসম্পূর্ণ মাছে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানে জাতীয় এ মৎস্য সপ্তাহের মূল্যায়ন, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার এ উপলক্ষে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন।
এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন বলেন, সাদা মাছ চাষে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলা বিশাল অবদান রেখেছে। যার কৃতিত্ব আপনাদের, যারা আপনারা এ পেশার সাথে মিশে আছেন। মাছ চাষ আজ আমাদের বিপুল জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। তিনি বলেন, সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপে শীঘ্রই আপনার আমার অতি প্রিয় বেত্রবতী নদী খনন কাজ শুরু হবে। ফলে আবারও গতি ফিরে পাবে বেত্রবতী। জলাবদ্ধতাসহ দূর হবে অনেক সমস্যা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরাফাত হোসেন, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমএ ফারুক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসীন আলি, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) অশোক কুমার।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বজলুর রহমান সরদার। অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন ও উপস্থিত ছিলেন কলারোয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আজাদুর রহমান খান চৌধুরী পলাশ, কলারোয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ জুলফিকারুজ্জামান জিল্লু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুল, জেলা ন্যাপের সভাপতি হায়দার আলি শান্ত, সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি কামরুজ্জামান, সাংবাদিক এমএ সাজেদ, জাহাঙ্গীর আলম লিটন, মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী এমএ কাশেম, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনা শেষে ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ উপজেলার সফল মনোসেক্স রেণু পোনা উৎপাদনকারী হিসেবে রঘুনাথপুর গ্রামের মেসার্স আল্লারদান হ্যাচারী মালিক কাবিল হোসেন, সফল গলদা চিংড়িচাষী হিসেবে বাঁটরা গ্রামের মাহফুজুর রহমান নিশান ও সফল কার্প মিশ্রচাষী হিসেবে কেরালকাতা গ্রামের শহিদুল ইসলামের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
এ সময় উপস্থিত প্রধান অতিথিসহ বিশেষ অথিতিদের উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পঙ্কজ বাহাদুর।