সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ কর্মচারী এমদাদের অসদাচরণ
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মচারী সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের লাবসা গ্রামের কাজি এমদাদ জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত অবস্তায় প্রতিনিয়ত রোগী ও রোগীর আত্নীয়-স্বজনদের সাথে অজানা কারণে অসৎ ব্যবহার করেই চলেছেন। গত ২৪ শে জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৬টার সাতক্ষীরা পৌর ৬নং ওয়ার্ড শাখা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের ছোট বোন শাহানারার একটি অপুষ্ট বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়। নির্ধারিত সময়ের আগে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হওয়ার কারণে ডা: মৃণাল কান্তির কাছে তড়িঘড়ি করে নিয়ে গেলে তিনি দ্রুত বাচ্চাটিকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য বলেন। সাড়ে ৬টার দিকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তির জন্য নিয়ে গেলে কর্মচারী কাজি এমদাদ বাচ্চার আত্নীয় স্বজনের সাথে অকথ্য ভাষায়(মুখে উচ্চারণ করা সম্ভব হলো না) গালিগালাজ করতে থাকেন। আর বলেন এই বাচ্চার চিকিৎসা এই হাসপাতালে হবে না। স্বজনরা এমদাদকে ভাল ব্যবহারের জন্য বললে সে আরো অশ্লীল কথা বলতে থাকে। এঘটনার পরে কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ হাসপাতালে গিয়ে এমদাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে তার খোজ পায়নি। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ হাসপাতাল ও হাসপাতালের আশে পাশের মানুষের কাছে জানতে পারেন ওই এমদাদ ২৫ থেকে ৩০ বছর সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চাকুরীরত অবস্থায় একাধারে রোগী ও রোগীর আত্নীয়-স্বজনের সাথে দু :ব্যবহার করেছেন। এটা তার স্বভাবে পরিণত হয়েছে। এমদাদের এই চলমান অপকর্মের একটা প্রতিকার হওয়া দরকার বলে মনে করেন সাতক্ষীরা কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ। কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন মহোদয়ের নিকট দু:ব্যবহারকারী এমদাদার কে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ দাবি করেছেন। দাবি পূরণ না হলে মানববন্ধনসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে এমদাদকে সাতক্ষীরার মাটি থেকে বিদায় করা হবে। বিবৃতি দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেন, পৌর কৃষকলীগের আহবায়ক সামছুজ্জামান জুয়েল, যুগ্ম আহবায়ক শাহ মোঃ আনারুল ইসলাম, সদস্য সচিব বাসুদেব সিংহ, উপজেলা কৃষকলীগ আহবায়ক তাজমিনুর রহমান টুটুল, যুগ্ম আহবায়ক আবু রায়হানসহ সাতক্ষীরা জেলার সকল কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ।