ছক্কা হাঁকাচ্ছেন ইমরান খান
খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠে এসেও ছক্কা হাঁকালেন ইমরান খান। এক সময় দেশের হয়ে দল চালিয়েছেন। এখন প্রধানমন্ত্রী হয়ে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন পুরো দেশ। সে কথাই বলছে নির্বাচনের বেসরকারি ফল।
শেষ খবরের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রাথমিকভাবে ভোট গণনায় ইমরান খানের দল ১১২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
ডন-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটিআইর পরেই রয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। তারা এগিয়ে আছে ৬৫ আসনে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এগিয়ে আছে ৪৩টি আসনে। মুত্তাহিদা মজলিস আমল (এমএমএ) এগিয়ে রয়েছে ৯টি আসনে ও গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (জিডিএ) এগিয়ে আছে সাতটি আসনে।
এর আগে সহিংসতা, বোমা হামলা, নানা অভিযোগের ঘটনাবহুল পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে দেশটিতে ভোটগ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন বলছে, জাতীয় পরিষদের ২৭২ আসনের বিপরীতে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন হাজার ৪৫৯ প্রার্থী। এরমধ্যে শুধুমাত্র পাঞ্জাব থেকেই এক হাজার ৬২৩ জন, সিন্ধ থেকে ৮২৪ জন, খাইবার পাখতুনখাওয়া থেকে ৭২৫ জন ও বেলুচিস্তান থেকে ২৮৭ জন। এছাড়া দেশটির দুটি আসন এনএ-৬০ ও এনএ-১০৮ এ নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
কোনো একক দল ক্ষমতায় যেতে হলে থলেতে ভরতে হবে কমপেক্ষ ১৩৭ আসন; তবেই দেশ শাসনের জন্য সরাসরি সরকার গঠন করতে পারবে। এছাড়া কোনো দলই যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারে তাহলে ঝুলে যাবে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। দ্বারস্থ হতে হবে ছোট-খাট দলগুলোর; জোট গঠন করে তবেই মসনদে যেতে হবে।