“শুধু আমাকেই বুঝলে না”
তোমার প্রেমনগরে আমি এক অচিন উদ্বাস্তু,
কষ্টের কষাঘাতে স্রোতের শেওলার মত ভাসতে ভাসতে এসেছিলাম তোমার হৃদয়নগরে,
একটু সুখের নিবাস গড়তে কিন্তু তুমি ছিলে হৃদয়হীন।
তুমি ছিলে তোমার রাজ্যের রাজকুমারী।
প্রেম, ভালোবাসা,আবেগ,অনুভূতি কোন কিছুরই অভাব ছিলোনা তোমার হৃদয় রাজ্যে,
ছিল না শুধু আমার প্রতি ভালোবাসার মনোভাব।
তবে চাইলেই সম্ভব ছিলো এই ছন্নছাড়া অতিথিকে তোমার মনোরাজ্যে প্রবেশের অনুমতি।
তোমার রাজ্যে কত শত প্রজা তবুও তার মধ্যে হলোনা আমার মাথা গুঁজা,
তোমার রাজ্যের তো কোন রাজপতি ছিলোনা..!
তুমিও যে রাজপতি বিনা একাকীত্ব জীবন-যাপন করো।
তুমিও রাজপতি চেয়েছো ঠিকই তবে তাকে কষ্টিপাথরের মতো যাচাই করতে ইচ্ছুক ছিলে।
তুমি শুধু আমাকে ছন্নছাড়া উদ্বাস্তু আর অচেনা অতিথিই মনে করলে,একটিবারও ভাবলেনা আমিও যে কোন রাজ্যের রাজপতি হতে পারি…!
আমার হৃদয়েও যে পাহার সমান ভালোবাসা থাকতে পারে…!
আমিও যে কারো ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্নকে বেঁধে দিতে পারি।
আসলে তোমার কোন দোষ নেই,
ছিলো বোধদয়ের অভাব যা তোমার মনে কোনদিনও উদয় হয় নাই।
যেদিন আমি কাঙ্গালের মত বিমুখ হয়ে নিরুদ্দেশ যাত্রা করলাম সেদিন না-কি অনেকের কাছেই সেই উদ্ভাস্তের সন্ধান চেয়েছিলে?
কিন্তু যাকে এখন তুমি খুঁজে ফিরছো সে হয়তো এতক্ষণে অন্য রাজ্যে পারি জমিয়েছে।
আসলে কি জানো?
কথায় আছে,”পেয়ে ধন হারায় যেজন তার মতো অভাগা আছে কি কোন জন”।
আজ হয়তো তুমি সেই অতিথির অপেক্ষায় স্বজন।