আজ তাজউদ্দীন আহমদের জন্মবার্ষিকী
জাতীয় নেতা এবং বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী আজ। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুলাই তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মৌলভী মুহাম্মদ ইয়াসিন খান এবং মাতা মেহেরুন্নেসা খানম।
১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গীয় মুসলীম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তাজউদ্দীনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। এরপর নানা পরিক্রমার মধ্য দিয়ে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা কর্মসূচির অন্যতম রূপকার ছিলেন তাজউদ্দীন। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিব নগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় এ নেতাকে। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর তাজউদ্দীন আহমদকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি করা হয়। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে অপর তিন নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানের সঙ্গে তাজউদ্দীন আহমদকেও হত্যা করা হয়। তার ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে। তারা হলেন- বড় মেয়ে শারমিন আহমেদ রিপি, মেজ মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি, ছোট মেয়ে মাহজাবিন মিমি ও একমাত্র ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। এদের মাঝে সিমিন হোসেন রিমি বর্তমান সংসদ সদস্য এবং সোহেল তাজ সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী।
তাজউদ্দীন আহমদের সহর্ধমিণী সৈয়দা জোহরা তাজ দুঃসময়ে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জন্মস্থান কাপাসিয়ায় নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুহম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি, নেতার জীবনী নিয়ে আলোচনা, বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কোরআনখানি, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন ও কুইজ প্রতিযোগিতা। এসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি।