ভাত খাওয়ার পর যেসব ভুল ডেকে আনছে মৃত্যু
ভাত খাওয়ার পর কিছু কাজ করা একদম উচিত নয়। তা হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই আজ থেকে জেনে নিন-
ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। তাই এক অর্থ বলা যায়, ভাত ছাড়া যেন বেঁচে থাকাই দায়। সবার কাছেই সব চেয়ে প্রিয় ও আরামদায়ক খাবার হচ্ছে ভাত। আপনি যদি স্বাস্থ্য সচেতন থাকেন তবে এই ভাতই আপনার কাছে ভিলেন হয়ে উঠবে। অনেকেই জানেন না যে,
• ভাত খাওয়ার আগে কি করবেন ?
• ভাত খাওয়ার পরে কি করবেন?
• কতটুকু ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ?
ভাতের মধ্যে বিদ্যমান উপাদানগুলো হলো:-
১০০ গ্রাম পরিমাণ ভাতে ৩৫৭ কিলোক্যালরি প্রোটিন থাকে। আরো থাকে ৮ গ্রাম পরিমাণ ফ্যাট, দশমিক ৫ গ্রাম কার্বো হাইড্রেড, ৭৮ গ্রাম ফাইবার, দুই দশমিক আট গ্রাম সলিউল ফাইবার সহ ইনসুলবল ফাইভার। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এসব উপাদান অনেক উপকারী। আপনি যদি নিরামিষ বিরোধী হন তবে আপনাকে সবজি , ডাল ও দই খেতে হবে কারন ভাতের মধ্যে অনেক স্টার্স থাকে। যা শরীরের গ্লুকোজ ভেঙে দেয় এবং রক্তে ইন্সুলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই ফাইবার খেতে হবে। আমরা সবাই জানি, ভাত শর্করা জাতীয় এবং উপকারী খাবার। সারা দিনে বাঙ্গালী একবারও ভাত খাবে না সেটা হতে পারে না। অনেকেই আছেন, যারা দিনে ৪ বারও ভাত খেয়ে থাকেন। এতে কিন্তু তেমন কোনো ক্ষতি নাই। তবে পেট ভরে ভাত খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে। আপনি কি জানেন, কোন চালের ভাত বেশি উপকারী? লাল চালের ভাত অনেক উপকারী কারণ এ ভাতে অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান থাকে। সাদা চালের ভাত কম উপকারী কারণ এ চালে পুষ্টি উপাদান অনেক কম থাকে। যদি বেশি ভাত খান তবে আপনার ঘুমের পরিমাণ ও বেড়ে যাবে। ভাত খাওয়ার পর পরই ঘুমিয়ে যাবেন না, এটা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
সুস্থ জীবন ধারনের জন্য খাবারের ভূমিকা প্রধান হলেও খাবার গ্রহণের পর কিছু বদ অভ্যাস হতে পারে। যেগুলো সুস্থ জীবন ধারনের জন্য প্রধান অন্তরায়। ভাত খাওয়ার পর স্বভাবতই অনেক ভুল কাজ করে থাকেন। যার বিরূপ প্রভাব অনেকেরই অজানা।
ভাত খাওয়ার পর যে কাজগুলো করা ঠিক নয়:
১। অনেকেই খাবার শেষ করে ফল খায়, এটা একে বারেই ঠিক নয়। এতে বাড়তে পারে অ্যাসিডিটি। খাবার খাওয়ার ২–১ ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে খাবার শেষ করার সাথে সাথে অনেকে ধুমপান করেন। খাবার খাওয়ার পর একটি সিগারেট যে ক্ষতি করে তা চিকিৎসকদের মতে অন্য সময়ের ১০টি সিগারেট খাওয়ার সমান।
২। ভাত খাওয়ার পর অনেকেই চায়ের কাপ নিয়ে বসে যান। চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে টেনিক এসিড, যা খাদ্যের প্রোটিনের মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। এতে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি সময় লাগে। চা পান করতে হলে খাবার গ্রহণের বেশ কিছু আগে বা পরে করবেন।
৩। খাবার গ্রহণের সাথে সাথে গোসল করা থেকে বিরত থাকবেন। খাওয়ার পর পরই গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকিস্থলির চারপাশে রক্তের পরিমাণ কমে যেতে পারে। যা পরিপাকতন্ত্রকে দুর্বল করে তোলে।
৪। খাবার শেষে বেল্ট বা প্যান্টের কোমর ঢিলা করবেন না। কারণ খাবারের পরপরই বেল্ট বা প্যান্টের কোমর ঢিলা করলে অতি সহজেই পাকিস্থলি থেকে মলদ্বার পর্যন্ত খাদ্য নালীর নিম্নাংশ বেঁকে যেতে পারে।
৫। ভাত খাওয়ার পরপরই ব্যায়াম করতে হয় না। এতে শরীর খারাপ করে।
৬। ভাত খাবার পর পরই ঘুমাবেন না। এতে শরীরে বাড়তি মেদ জমে।