জনগণের হাতে কপোত কপোতি আটক শ্যামনগর থানায় সোপর্দ
শ্যামনগর উপজেলার নূরনগর উত্তর হাজীপুর গ্রামে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে পালিয়ে যাওয়ার সময় কপোত কপোতি আটক করে স্থানীয় জনগণ শ্যামনগর থানা পুলিশে সোপর্দ করে। গত সোমবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলা ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের মাতকাটি গ্রামের চন্ডিচরণ মণ্ডলের ছেলে তন্ময় মণ্ডল ওরপে কানু (২৮)এবং শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ধানখালী গ্রামের অজিত বাবলিয়ার মেয়ে নীলিমা বাবলিয়া (২৬)। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, বিধবা নীলিমা এক কন্যা সন্তানের জননী প্রায় মাস দুই আগে নীলিমাকে ডিভোর্স দিলে আত্মীয় চান্ডচরণ মণ্ডলের বাড়িতে ওঠে। সেখানে ২৩ দিনের অবস্থান কালে তন্ময় মণ্ডলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানা জানি হলে চন্ডিচরণ মণ্ডল নীলিমাকে তার আত্মীয় নূর-নগর ইউনিয়নের মৃত নারায়র অধিকারীর ছেলে তপন অধিকারীর বাড়িতে রাখে। তপন অধিকারীর বাড়িতে নীলিমা থাকলেও মুঠোফোনে তাদের সম্পর্ক চলতে থাকে এক পর্যায় গত সোমবার তন্ময় মণ্ডল নীলিমাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তপন অধিকারীর বাড়ির আশে পাশে ঘুরতে থাকে স্থানীয় জনগণের চোখে পড়ে এবং সন্দেহের সৃষ্টি হলে তাকে আটক করে এবং জনতার বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শিকার করে। পরে স্থানীয় জনগণ তাদেরকে বিয়ে দেওয়ার কথা বললে তন্ময় মণ্ডল ও তার অভিভাবকরা বিয়েতে অসম্মতি জানালে পুলিশে সোপর্দ করে। এবিষয়ে শ্যামনগর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক মোঃ ফজলুল করিমের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এবিষয়ে নীলিমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের মধ্যে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে সম্পর্ক চলছে এবং তন্ময়দের বাড়িতে থাকা কালে সে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রতি দিলে আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তন্ময় মণ্ডল তার পিতার পরিচয় ত্যাগ করে ঢাকায় নিয়ে বিয়ের কথা বলে।