সাতক্ষীরায় ডির্ভোসকৃত স্ত্রীর আত্মীয়স্বজন কর্তৃক মোস্তাফিজুরকে প্রাণ নাশের হুমকি
সাতক্ষীরায় ডির্ভোসকৃত স্ত্রী ও তার আত্মীয়স্বজন কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকি এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন এক যুবক। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের মোঃ আব্দুর রকিব সরদারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, পারিবারিক সম্মতিতে তিনি ২০১৩ সালে দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ি থানার সোজাপুর গ্রামের মামুনুর রশিদের মেয়ে সানজিদা খানমকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তার কথা না শুনে সে বেপরোয়া চলাফেরা করতে থাকে। আমার অবর্তমানে সে (সানজিদা) অন্যের সাথে মোবাইল ফোনে সারাক্ষন কথাবার্তা বলতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার পারিবারিকভাবে মিমাংশার চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তাকে ওই পথ থেকে ফেরানোর সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার আইনের আশ্রয় নিতে ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল আমি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরনাপন্ন হই। আদালতে কয়েকবার হাজির হতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর এক পর্যায় আইনজীবীর পরামর্শে ২০১৫ সালের ১১ আগষ্ট আমি আমার স্ত্রী সানজিদা খানমকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ডিভোর্স লেটার পাওয়ার পর মেয়ে পক্ষ প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গ্রামের কিছু দুষ্ণকৃতকারিদের সহায়তায় ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আমার উপর হামলা চালায়। এঅবস্থায় আমি বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে একটি কোম্পানিতে চাকুরি নেই। কিন্তু মেয়ে পক্ষের লোকজন ঢাকায় আমার বাসায় গিয়ে হামলা করে ও বাসার মধ্যে মাদ্রকদ্রব্য রেখে আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এঘটনায় আমি ঢাকার মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। বর্তমানে মেয়ে পক্ষের লোকজন আমার পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনদের ম্যানেজ করে ডিভোর্স দেয়া স্ত্রীকে আবার গ্রহণ করার জন্য আমার উপর চাপ প্রয়োগ করছে। কিন্তু তার স্বভাব চরিত্র ভাল না হওয়ায় আমি পুনরায় তাকে গ্রহণ করতে চাইনা। সেকারনে আমার আত্মীয় স্বজন ও মেয়ে পক্ষের লোকজন আমার জীবন নাশ ও চাকুরিচ্যুত করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি নিজের আত্মীয় স্বজন ও ডির্ভোসকৃত স্ত্রীর আত্মীয় স্বজন কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকি থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।