বিশ্বকাপের ফাইনাল যত রেকর্ডের সাক্ষী, তালিকায় ১০
বিশ্বকাপ মানেই রেকর্ড আর পরিসংখ্যান নিয়ে ঘাটাঘটি। নতুন রেকর্ডে উপাখ্যান নতুন তারকার জন্ম। রাশিয়াও তার ব্যতিক্রম নয়। বরং রাশিয়া কিছুটা এগিয়ে। অঘটনের বিশ্বকাপ বলা হয় ২১তম বিশ্বযজ্ঞকে। বিশেষজ্ঞদের ধারণার বাইরে থাকা একটা দল বিশ্বকাপের ফাইনালে। সেরা দলগুলো প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডে বিশ্বকাপ শেষ করে। সেই দৃষ্টিতে রাশিয়া রেকর্ডের বরপুত্র।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রাশিয়া বিশ্বকাপের রেকর্ডগুলো-
১.ইতিহাসের ষষ্ঠ দল হিসেবে একাধিকবার বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড গড়ল ফ্রান্স। আগে যে কীর্তি ছিল ব্রাজিল (৫ বার), জার্মানি (৪ বার), ইতালি (৪ বার), আর্জেন্টিনা (২ বার) ও উরুগুয়ের (২ বার)। একটি করে বিশ্বকাপ জিতেছে ইংল্যান্ড ও স্পেন। বিশ্বকাপ জয়ী মোট দলের সংখ্যা আট।
২. কিংবদন্তি পেলের পর সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ১৯ বছর ২০৭ দিন বয়সে ফরাসী এমবাপ্পে এই রেকর্ড গড়েন ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ২৪৯ দিন বয়সে।
৩. ফাইনালে আত্মঘাতী গোল করা প্রথম ফুটবলার মারিও মানজুকিচ। অবশ্য পরে নিজে গোল করে পাপমোচন করেছেন। চ্যাম্পিয়ন লিগ ও বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা মাত্র পঞ্চম খেলোয়াড় তিনি। আগে এই কীর্তি ছিল ফেরেঙ্ক পুসকাস, জলতান জিবর, জার্ড মুলার ও জিনেদিন জিদানের।
৪. কোচ ও অধিনায়কের ভূমিকায় বিশ্বকাপ জেতা মাত্র দ্বিতীয় ব্যক্তি হলেন দিদিয়ের দেশম। এর আগে যে কীর্তি ছিল জার্মান কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের। খেলোয়াড় ও কোচের ভূমিকায় বিশ্বকাপ জেতা তৃতীয় ব্যক্তি ব্রাজিলের মারিও জাগালো।
৫. তৃতীয় সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতলেন এমবাপ্পে। পেলে জিতেছিলেন ১৭ বছর বয়সে, ইতালির জিউসেপ্পে বারগমি জিতেছিলেন ১৮ বছর বয়সে। ১৯ বছর বয়সে জিতলেন এমবাপ্পে।
৬. এমানুয়েল পেতিতের (১৯৯৮ বিশ্বকাপ) পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা কোনো খেলোয়াড় বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করলেন পল পগবা।
৭. একই মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ও বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দ্বিতীয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড় দেয়ান লভরেন। ২০০৬ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন থিয়েরি অঁরি। একই সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ ও বিশ্বকাপ ফাইনাল হারার কীর্তিতে এই দুজন ছাড়াও আছে আরিয়েন রোবেনের নাম। ২০১০ সালে এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল বায়ার্নের ডাচ তারকার।
৮. সর্বশেষ চার বিশ্বকাপের ফাইনালেই ফরাসি ক্লাব মোনাকোর গোলরক্ষক খেলেছে এবং হেরেছে! ২০০৬-এ ফাবিয়ান বার্থেজ, ২০১০-এ মার্তেন স্তেকেলেনবার্গ, সার্জিও রোমেরো এবং দানিয়েল সুবাচিচ।
৯. ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর এই প্রথম ফাইনালে কোনো দল কমপক্ষে ৩টি গোল দিল। আগের কীর্তিটাও ফ্রান্সেরই। ফাইনালে সব মিলিয়ে হয়েছে ৬ গোল। ফাইনালে ৬ গোল দেখা গেছে তিনবার: ১৯৩০, ১৯৩৮ ও ১৯৬৬ বিশ্বকাপে। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে হয়েছিল ৭ গোল!
১০. ২০ বছর পরপর বিশ্বকাপ নতুন চ্যাম্পিয়ন পায়। কিন্তু এবার সেই সুযোগ ক্রোয়েশিয়া পেয়েছিল। কিন্তু রেকর্ডটি তারা করতে পারেনি। সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলে ক্রোয়েশিয়া।