উদ্ভট উটের পিঠে চলছে সদর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ!
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ ল্যাব টেকনোলজিস্টের পরিবর্তে চালাচ্ছেন ল্যাব ইনচার্জের নিজস্ব ড্রাইভার দিয়ে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর হাপাতালের প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্জ রবীন্দ্রনাথ নিজে কাজ না করে নিজের ড্রাইভার দিয়ে ল্যাবের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদর হাসপাতালের একাধিক ব্যক্তি বলেন, সরফরাজ টুকু নামের ব্যক্তি সদর হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব গাড়িচালক। কিন্তু তিনি এখন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ বললেও ভুল হবে না। গত দুই মাস ধরে প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কোন প্রকার থিউরিক্যাল জ্ঞান না থাকা সত্যেও বায়োকেমিস্ট্রি, হেমাটোলজি, ইলেক্ট্রোলাইট তাছাড়া আরো অন্যান্য কাজ গুলো সে নিজেই পরিচালনা করছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ রবীন্দ্রনাথের ক্ষমতাবলে সে এই কাজ করে যাচ্ছে। এতে করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা দিন দিন হুমকির মুখে পড়ছে। এতে সাধারণ মানুষ যারা সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভর তারা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এদিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগের জাকির হোসেন বিরুদ্ধে সরকারি ফি ২০০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও রোগীদের বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ৩০০টাকার বিনিময়ে এক্সরে করছেন বলে অভিযোগও পাওয়া গেছে। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ল্যাব ইনচার্জ রবীন্দ্রনাথ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সরফরাজ টুকু আমার ড্রাইভার না সে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করে। ল্যাবে কাজ করার জন্য আলাদা লোক আছে। আমাদের ম্যাশিনে সমস্যা হয়েছিল বলে তাকে ডাকা হয়েছিল।
এব্যাপরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফরহাদ জামিল বলেন, সরফরাজ টুকু নামে হাসপাতালের ল্যাবে কেউ নেই। তবে ল্যাব ইনচার্জ রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব প্রাইভেট কারের ড্রাইভার টুকু। আমিও শুনেছি সে ল্যাবে কাজ করছে কিন্তু কেন করছে সেটা আমার জানা নেই। আমাদের অগোচরে ড্রাইভার হয়েও সদর হাসপাতালের ল্যাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা তো সব সময় পাহারা দিতে পারি না। এটা অবশ্যই অন্যায় কাজ হচ্ছে। রিপোর্ট ভুলের কারণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। একজন ড্রাইভার হয়ে সদর হাসপাতালের ল্যাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কাজ করে এটি খুবই দু:খজনক। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।