তালায় স্কুলের ছাদ ঢালাই এর টাকা নিয়ে শিক্ষক নিয়োগ
তালায় ৮লক্ষ টাকার বিনিময়ে মহান্দী প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ৩০ বছর চাকরি করেও নিজ স্কুলে নিয়োগ পেলেন না অসিত কুমার সিংহ এবং অন্য ২জন দিদারুল ইসলাম এবং রবীন্দ্র নাথ ঘোষ।
৮ লক্ষ টাকার মধ্যে চেকের মাধ্যমে নেয়া হয়েছে ৫লক্ষ টাকা এবং নগদ ৩ লক্ষ টাকা। উক্ত স্কুলের অনুকূলে ৮জন আবেদন করলেও প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হোসেন ও ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে পরীক্ষা দিয়েছে ৩ জন। যা নিজ মহান্দী প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২জন এবং যাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে সেই কপিলমুনি বালিয়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিহার রঞ্জন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, তালা মহান্দী প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান সহকারী শিক্ষকের পদ খালী হয়। শিক্ষক নিয়োগের চাহিদার প্রেক্ষিতে উক্ত স্কুলের অনুকূলে ৮জন শিক্ষক সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য আবেদন করে। তার মধ্যে কপিলমুনি বালিকা বিদ্যালয়ের নিহার রঞ্জন, তালা মহান্দী প্রগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিদারুল ইসলাম, রবীন্দ্র নাথ ঘোষ, অসিত কুমার সিংহ, এজেএইচ স্কুলের ফজলুর রহমান, জেএনএ স্কুলের স্বপন কুমার দেবনাথ, তালা মডেল স্কুলের আব্দুল হান্নান এবং কপোতাক্ষ হাইস্কুলের শিক্ষক তাপস কুমার। এদের মধ্যে শুধু মাত্র ৩ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ৫জনকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি। নিজের স্কুলের শিক্ষককে ভয় দেখিয়ে পরীক্ষায় খারাপ করতে বলা হয়। যাতে শিক্ষক নিহার রঞ্জনকে নিয়োগ দেয়া যায়। প্রধান শিক্ষক টাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অত টাকা নেয়া হয়নি। যে টাকা নেয়া হয়েছে তা স্কুলের ছাদ ও আনুষঙ্গিক খরচ করার জন্য। নাম না প্রকাশ করে উক্ত স্কুলের শিক্ষক বলেন, ভাই আমার চাকরি ৩০ বছর। টাকার জন্য আমার আমার চাকরিটা হলো না। শিক্ষক আরও বলেন, ৫লক্ষ টাকার চেক দিয়েছে এবং বাকী টাকা নগদ দিয়েছে। অন্য শিক্ষক বলেন, আমাদের পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার একার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ম্যানেজিং কমিটি মিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। টাকার নেয়ার বিষয়ে বলেন, টাকা স্কুলের ছাদ দেয়ার জন্য নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমান বলেন, টাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যে ৩জন পরীক্ষা দিয়েছিলো তা সঠিকভাবে নেয়া হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে আবেদন করলে বিষয়টি দেখবো।