‘আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতন দেখে মানুষ হতভম্ব’
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা সর্বোচ্চ আদালতকে সরকারের মুখপাত্রে পরিণত করার বন্দোবস্ত করছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বেগম জিয়া মুক্তি পেলে বিচারের বাণী নিরবে কাঁদবে-রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল ১/১১ এর সরকারের দায়ের করা ১৫টি মামলা ক্ষমতার জোরে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনাতে কি বিচারের বাণী খুশিতে আনন্দ উল্লাস শুরু করেছিল?
কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন ও চিকিৎসা প্রসঙ্গে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় দায়ের করা মিথ্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগ স্থগিত করেছেন- যা নজিরবিহীন ঘটনা। ন্যায় বিচার পাওয়ার মানুষের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল হলো সর্বোচ্চ আদালত এবং জামিন পাওয়া মানুষের অধিকার। তাকে হাইকোর্ট জামিন দেওয়ার পর সর্বোচ্চ আদলত কর্তৃক জামিন স্থগিত করার ঘটনাটি সম্পূর্ণরূপে সরকার নির্দেশিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আদালতের উচ্চ পর্যায়ে ভুক্তভোগী মানুষ প্রতিকার পায়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। অবৈধ সরকার নিম্ন আদালতকে সম্পূর্ণভাবে কব্জায় নিয়ে এখন সর্বোচ্চ আদালতকেও হাতের মুঠোয় নিয়েছে কী না সেটি নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারিদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রিজভী বলেন, ছাত্রলীগের নেতাদের দ্বারা ছাত্রীদের যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা নারীদের ওপর ৭১ এর হানাদার বাহিনীর নির্মতার কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়। এছাড়া আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর কিভাবে পায়ে পিষে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়েছে তা দেখে দেশের মানুষ হতভম্ব।